ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




আইনে নিষিদ্ধ: তবুও অনলাইনে দেশীয় অস্ত্র, অগ্নি ও বিস্ফোরক দ্রব্য অবাধে বিক্রয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন আইটেমের ধাতব, দেশীয় অস্ত্র, দার্য্য ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রয় করছে লাইটার বিডি, জিপো লাইটার বিডি সহ বেশ কয়েকটি অসাধু চক্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা সুস্পষ্ট আইনের লংঘন এবং এতে সন্ত্রাস দিন দিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পেইজ খুলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই সব নানা দাহ্য পদার্থ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দিযাশলাই, দেশীয় অস্ত্র- যেমন বিভিন্ন ডিজাইনের ছুরি এবং অন্যান্য দাতব্য পণ্য। যেখান থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলেই পছন্দ মত এইসব নিষিদ্ধ পণ্য কিনতে পারেন। ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অনুযায়ী ( ২০০৯ সনের ১৬ নং ধরায় এ সকল পণ্য অনুমতি ব্যতীত বিক্রয় বহন ও সরবরাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও অপূর্ব এই ব্যবসা চলমান থাকার পরও এসব অনলাইন পেইজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যেনো কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

এইসব অনলাইন পেইজে দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিস সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইলেন্স নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার নেই। এতে করে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটলে জান মালের নিরাপত্তা দেওয়া দুরুহ হয়ে পরবে বলে মনে করছেন সুধীমহল। সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, প্রজ্জ্বলন- দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের নিবন্ধনসহ অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও এসব অনলাইন শপে সরকারি নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় রাজধানীসহ সারাদেশে দেদারসে বিক্রয় করছে এসব দাহ্য পদার্থ। ভয়ঙ্কর বিষয় হলো এইসব নিষিদ্ধ পণ্য কুরিয়ারের মাধ্যমে সারাদেশে ডেলিভারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে অহরহ যে কারণে কুরিয়ারের অন্য সব পণ্য যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হতে পারে।

এমন করেই ক্রেতা আকর্ষণ করা হয় এসব নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রিতে!

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো কোথাও দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আইনে নিষিদ্ধ: তবুও অনলাইনে দেশীয় অস্ত্র, অগ্নি ও বিস্ফোরক দ্রব্য অবাধে বিক্রয়

আপডেট সময় : ১২:১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন আইটেমের ধাতব, দেশীয় অস্ত্র, দার্য্য ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রয় করছে লাইটার বিডি, জিপো লাইটার বিডি সহ বেশ কয়েকটি অসাধু চক্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা সুস্পষ্ট আইনের লংঘন এবং এতে সন্ত্রাস দিন দিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পেইজ খুলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই সব নানা দাহ্য পদার্থ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দিযাশলাই, দেশীয় অস্ত্র- যেমন বিভিন্ন ডিজাইনের ছুরি এবং অন্যান্য দাতব্য পণ্য। যেখান থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলেই পছন্দ মত এইসব নিষিদ্ধ পণ্য কিনতে পারেন। ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অনুযায়ী ( ২০০৯ সনের ১৬ নং ধরায় এ সকল পণ্য অনুমতি ব্যতীত বিক্রয় বহন ও সরবরাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও অপূর্ব এই ব্যবসা চলমান থাকার পরও এসব অনলাইন পেইজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যেনো কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

এইসব অনলাইন পেইজে দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিস সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইলেন্স নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার নেই। এতে করে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটলে জান মালের নিরাপত্তা দেওয়া দুরুহ হয়ে পরবে বলে মনে করছেন সুধীমহল। সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, প্রজ্জ্বলন- দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের নিবন্ধনসহ অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও এসব অনলাইন শপে সরকারি নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় রাজধানীসহ সারাদেশে দেদারসে বিক্রয় করছে এসব দাহ্য পদার্থ। ভয়ঙ্কর বিষয় হলো এইসব নিষিদ্ধ পণ্য কুরিয়ারের মাধ্যমে সারাদেশে ডেলিভারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে অহরহ যে কারণে কুরিয়ারের অন্য সব পণ্য যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হতে পারে।

এমন করেই ক্রেতা আকর্ষণ করা হয় এসব নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রিতে!

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো কোথাও দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।