ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




নারী যাত্রীকে একা পেয়ে বাড়ি নিয়ে রাতভর ধর্ষণ, অটো চালক গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

ফেনীর দাগনভূঁঞায় এক কিশোরীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) খুরশিদ আলম (৩৪) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খুরশিদ আলম ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে খুরুশিদকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায় , ওই কিশোরী বুধবার বিকেলে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরও একজন যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে ওই যাত্রীর গন্তব্য শেষ হওয়ায় তিনি নেমে চলে যান। এরপর ওই কিশোরী ছিল অটোরিকশায় একমাত্র যাত্রী।

পুরুষ যাত্রী নেমে যাওয়ার পর অটোরিকশা চালক খুরশিদ ওই কিশোরীকে নিয়ে নানাভাবে সময় ক্ষেপণ করেন এবং রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঞা উপজেলার খুশীপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।

খুরশিদ মুঠোফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে তারা দুই বন্ধু খুরশিদ ও রাসেল মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক সুযোগে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে যায় এবং পরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলার তদন্ত ও অপর আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নারী যাত্রীকে একা পেয়ে বাড়ি নিয়ে রাতভর ধর্ষণ, অটো চালক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক;

ফেনীর দাগনভূঁঞায় এক কিশোরীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) খুরশিদ আলম (৩৪) নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খুরশিদ আলম ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে খুরুশিদকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায় , ওই কিশোরী বুধবার বিকেলে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরও একজন যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে ওই যাত্রীর গন্তব্য শেষ হওয়ায় তিনি নেমে চলে যান। এরপর ওই কিশোরী ছিল অটোরিকশায় একমাত্র যাত্রী।

পুরুষ যাত্রী নেমে যাওয়ার পর অটোরিকশা চালক খুরশিদ ওই কিশোরীকে নিয়ে নানাভাবে সময় ক্ষেপণ করেন এবং রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঞা উপজেলার খুশীপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।

খুরশিদ মুঠোফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে তারা দুই বন্ধু খুরশিদ ও রাসেল মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক সুযোগে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে যায় এবং পরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলার তদন্ত ও অপর আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।