ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




১০ মাসে ছয় বার বদলি, আতঙ্কে গণপূর্তের প্রকৌশলীরা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

এইচ আর শফিক: গণপূর্ত অধিদফতরের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একাধিকবার বদলির অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে দুজন প্রকৌশলীকে ১০ মাসের মধ্যে ছয়বার বদলি করা হয়েছে। কোনো কারন ছাড়াই এরকম বদলির ফলে গণপূর্ত ভবনের প্রকৌশলীরা আতঙ্কে রয়েছেন। এরকম বদলির আদেশের যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের হাতে রয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম বাকী ইবনে হাফিজকে ঢাকা গণপূর্ত উপ বিভাগ-৫ থেকে খুলনা গণপূর্ত উপ বিভাগ-৩ এ বদলি করা হয়। এর মাত্র ৭ দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি খুলনা থেকে ঢাকা-৪ বদলি করে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ২ মার্চে আরেক আদেশে ঢাকা-৪ এ রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়। গত ৩১ আগস্ট এক আদেশে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-০৪ রিজার্ভ থেকে নোয়াখালী গণপূর্ত উপ বিভাগ-১ এ বদলি করা হয়। গত ৫ অক্টোবর নোয়াখালী থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-০৪ এ সংযুক্ত করা হয় এবং একই দিন বান্দরবানের লামা গণপূর্ত উপ-বিভাগে বদলি করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-০৪ থেকে গোলাম বাকী ইবনে হাফিজ পদোন্নতি পেয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ঢাকা গণপূর্ত উপবিভাগ-৫ এ পোস্টিং পায়।

গোলাম বাকী ইবনে হাফিজের মতো আল আমিন নামে এক নির্বাহী প্রকৌশলীকেও একইভাবে গত ১০ মাসে ৫/৬ বার বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওয়াহিদ বিন ফরহাদ, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, কামরুল হাসান, কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, আল আমিন, মোঃ নুরুল হাসান, আবু সায়েম খান সহ ১০/১৫ জন প্রকৌশলীকে গত ১০ মাসে একাধিকবার বদলির অভিযোগ উঠেছে।

অথচ গণপূর্ত অধিদপ্তরে যারা বদলি প্রক্রিয়ার অথরিটি তাদের অনেকেই একইস্থানে বিগত ২০ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনেকের মধ্যেই চরম বিস্ময় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বদলি হওয়া প্রকৌশলীদের মধ্যে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম বাকী ইবনে হাফিজকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। আর নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিনের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকৌশলী জানায় গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বদলী বানিজ্যের অংশ হিসেবে তাদের এরকম বদলি করেছেন।

তারা জানান, তার সাথে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন) নন্দিতা রাণী সাহা এবং উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কল্যাণ কুমার কুণ্ডু মিলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বদলিকৃত প্রকৌশলীদের অধিদফতর থেকে বিভিন্ন কার্যালয়ে বদলি করে অন্য প্রকৌশলীদের এখানে বসিয়েছেন।

১০ মাসে ৬ বার বদলির বিষয়ে জানতে গণপূর্ত বিভাগের সংস্থাপন শাখার তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রাণী সাহার সাথে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের সংস্থাপন শাখার তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রাণী সাহা প্রায় বিশ বছর ধরে বদলি হয়নি।

১০ মাসে ৬ বার বদলির বিষয়ে জানতে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১০ মাসে ছয় বার বদলি, আতঙ্কে গণপূর্তের প্রকৌশলীরা!

আপডেট সময় : ১১:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

এইচ আর শফিক: গণপূর্ত অধিদফতরের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একাধিকবার বদলির অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে দুজন প্রকৌশলীকে ১০ মাসের মধ্যে ছয়বার বদলি করা হয়েছে। কোনো কারন ছাড়াই এরকম বদলির ফলে গণপূর্ত ভবনের প্রকৌশলীরা আতঙ্কে রয়েছেন। এরকম বদলির আদেশের যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের হাতে রয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম বাকী ইবনে হাফিজকে ঢাকা গণপূর্ত উপ বিভাগ-৫ থেকে খুলনা গণপূর্ত উপ বিভাগ-৩ এ বদলি করা হয়। এর মাত্র ৭ দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি খুলনা থেকে ঢাকা-৪ বদলি করে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ২ মার্চে আরেক আদেশে ঢাকা-৪ এ রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়। গত ৩১ আগস্ট এক আদেশে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-০৪ রিজার্ভ থেকে নোয়াখালী গণপূর্ত উপ বিভাগ-১ এ বদলি করা হয়। গত ৫ অক্টোবর নোয়াখালী থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-০৪ এ সংযুক্ত করা হয় এবং একই দিন বান্দরবানের লামা গণপূর্ত উপ-বিভাগে বদলি করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-০৪ থেকে গোলাম বাকী ইবনে হাফিজ পদোন্নতি পেয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ঢাকা গণপূর্ত উপবিভাগ-৫ এ পোস্টিং পায়।

গোলাম বাকী ইবনে হাফিজের মতো আল আমিন নামে এক নির্বাহী প্রকৌশলীকেও একইভাবে গত ১০ মাসে ৫/৬ বার বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওয়াহিদ বিন ফরহাদ, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, কামরুল হাসান, কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, আল আমিন, মোঃ নুরুল হাসান, আবু সায়েম খান সহ ১০/১৫ জন প্রকৌশলীকে গত ১০ মাসে একাধিকবার বদলির অভিযোগ উঠেছে।

অথচ গণপূর্ত অধিদপ্তরে যারা বদলি প্রক্রিয়ার অথরিটি তাদের অনেকেই একইস্থানে বিগত ২০ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনেকের মধ্যেই চরম বিস্ময় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বদলি হওয়া প্রকৌশলীদের মধ্যে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম বাকী ইবনে হাফিজকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। আর নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিনের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকৌশলী জানায় গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বদলী বানিজ্যের অংশ হিসেবে তাদের এরকম বদলি করেছেন।

তারা জানান, তার সাথে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন) নন্দিতা রাণী সাহা এবং উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কল্যাণ কুমার কুণ্ডু মিলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বদলিকৃত প্রকৌশলীদের অধিদফতর থেকে বিভিন্ন কার্যালয়ে বদলি করে অন্য প্রকৌশলীদের এখানে বসিয়েছেন।

১০ মাসে ৬ বার বদলির বিষয়ে জানতে গণপূর্ত বিভাগের সংস্থাপন শাখার তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রাণী সাহার সাথে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের সংস্থাপন শাখার তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রাণী সাহা প্রায় বিশ বছর ধরে বদলি হয়নি।

১০ মাসে ৬ বার বদলির বিষয়ে জানতে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।