ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




অচিরেই সারা পৃথিবী জুড়ে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়জয়কার হয়ে উঠবে-এইচ আর শফিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবীর ইতিহাসে যতবার দুর্যোগ মহামারী সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা হানা দিয়েছে, ততোবারই মানব সভ্যতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে জীবনযাত্রায় নতুন অভ্যাস, নতুন প্রয়োজন। কালের পরিক্রমায় বেড়েছে পৃথিবীর জনপদ, জনসংখ্যা। যুগে যুগে মানব সম্প্রদায়ের তথ্যের চাহিদা মিটাতে ক্রমেই সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মাঝে তথ্য আদান প্রদানের বিভিন্ন মাধ্যম। সেসব মাধ্যমগুলোয় সর্বশেষ নাম হয়ে ওঠে সংবাদমাধ্যম।
তথ্য প্রাপ্তির ভাণ্ডার হিসেবে সংবাদমাধ্যমে যুক্ত হতে থাকে একের পর এক যুগোপযোগী কাজের ধরণ। যেমন; হাতে লেখা পত্রিকা, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন প্রযুক্তির সর্বশেষ যুক্ত হয় ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম তথা অনলাইন পোর্টাল। যা তথ্য দুনিয়ায় মানুষের সবচেয়ে সহজলভ্য তথ্য আদান প্রদানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপী বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি কথাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে.. করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে মহামারী হিসেবে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃত্যুদূত হয়ে হানা দিয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব জনপদে সব দেশে। এমনটা চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই সারা পৃথিবীতে নেমে আসবে এক বড় ধরনের বিপর্যয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হবে সারা পৃথিবীর সকল জনপথ ও দেশ। এই বিপর্যয়ের ধারাবাহিকতায় বাইরে থাকবেনা বিশ্ব গণমাধ্যমও। ধারণা করা হচ্ছে এই বিপর্যয়ের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীতে প্রায় কয়েক লক্ষ গণমাধ্যমকর্মী হারাবে তাদের কর্মস্থল। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় কাগজের পত্রিকাগুলোর বাজার মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই। বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার পত্র-পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যম হারাবে তাদের অস্তিত্ব। সময়ের বিবর্তনে হয়তো আবারো একটি সময় সকল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে পৃথিবী। ধীরে ধীরে সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠায় পরবর্তীতে কাজের ধরন বদলাতে পৃথিবীর গণমাধ্যমগুলোর। ভার্চুয়াল সংবাদ মাধ্যম তথা অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো শক্তিশালী জায়গা করে নেবে সারা পৃথিবী জুড়ে। করণা নামক এই মহামারী সারা পৃথিবীতে ব্যাপক প্রাণহানি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পৃথিবীর তার বিগত দিনের মতোই সকল বিপর্যয় কাটিয়ে আবারো চলবে আপন গতিতে। আশা করা যায় বিপর্যয় কেটে ওঠার পরে সারা পৃথিবী জুড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অনলাইন এক্টিভিটিস শক্তিশালী জায়গা করে নেবে। যা ইতিমধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোতে বেশ লক্ষণীয়। শুধু সংবাদমাধ্যমই নয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজ নিজ দপ্তরে গিয়ে অফিস করার বিষয়টি অনেকাংশে কমে আসবে। যেমন প্রক্রিয়া চালু করেছে গুগল মাইক্রোসফট অ্যামাজন সহ বেশ কিছু কোম্পানি সমূহ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে এমন কোম্পানিগুলোতে নির্দিষ্ট কর্পোরেট অফিস থেকে নিজ বাসায় বসে এই সমস্ত কোম্পানির ১৩% কার্য সম্পন্ন করা হয়।

আশা করছি অচিরেই পৃথিবীর এই আতঙ্ক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে মানুষ ফিরবে তার নির্দিষ্ট কর্মস্থলে। তবে এটা ঠিক সারা পৃথিবীতে মানুষের জীবনযাত্রাতেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তার সাথে সাথে পরিবর্তন আসবে বিশ্বের সংবাদমাধ্যম গুলোর। ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে অনেক কাগজের পত্রিকা ছাপানো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন গণমাধ্যম। এমনি করে সারা পৃথিবী জুড়ে অনলাইন গণমাধ্যম এর জয়জয়কার হয়ে উঠবে অচিরেই।

 

লেখক; হাফিজুর রহমান শফিক, সম্পাদক- সকালের সংবাদ। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অচিরেই সারা পৃথিবী জুড়ে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়জয়কার হয়ে উঠবে-এইচ আর শফিক

আপডেট সময় : ১১:০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০

পৃথিবীর ইতিহাসে যতবার দুর্যোগ মহামারী সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা হানা দিয়েছে, ততোবারই মানব সভ্যতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে জীবনযাত্রায় নতুন অভ্যাস, নতুন প্রয়োজন। কালের পরিক্রমায় বেড়েছে পৃথিবীর জনপদ, জনসংখ্যা। যুগে যুগে মানব সম্প্রদায়ের তথ্যের চাহিদা মিটাতে ক্রমেই সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মাঝে তথ্য আদান প্রদানের বিভিন্ন মাধ্যম। সেসব মাধ্যমগুলোয় সর্বশেষ নাম হয়ে ওঠে সংবাদমাধ্যম।
তথ্য প্রাপ্তির ভাণ্ডার হিসেবে সংবাদমাধ্যমে যুক্ত হতে থাকে একের পর এক যুগোপযোগী কাজের ধরণ। যেমন; হাতে লেখা পত্রিকা, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন প্রযুক্তির সর্বশেষ যুক্ত হয় ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম তথা অনলাইন পোর্টাল। যা তথ্য দুনিয়ায় মানুষের সবচেয়ে সহজলভ্য তথ্য আদান প্রদানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপী বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি কথাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে.. করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে মহামারী হিসেবে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃত্যুদূত হয়ে হানা দিয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব জনপদে সব দেশে। এমনটা চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই সারা পৃথিবীতে নেমে আসবে এক বড় ধরনের বিপর্যয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হবে সারা পৃথিবীর সকল জনপথ ও দেশ। এই বিপর্যয়ের ধারাবাহিকতায় বাইরে থাকবেনা বিশ্ব গণমাধ্যমও। ধারণা করা হচ্ছে এই বিপর্যয়ের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীতে প্রায় কয়েক লক্ষ গণমাধ্যমকর্মী হারাবে তাদের কর্মস্থল। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় কাগজের পত্রিকাগুলোর বাজার মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই। বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার পত্র-পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যম হারাবে তাদের অস্তিত্ব। সময়ের বিবর্তনে হয়তো আবারো একটি সময় সকল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে পৃথিবী। ধীরে ধীরে সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠায় পরবর্তীতে কাজের ধরন বদলাতে পৃথিবীর গণমাধ্যমগুলোর। ভার্চুয়াল সংবাদ মাধ্যম তথা অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো শক্তিশালী জায়গা করে নেবে সারা পৃথিবী জুড়ে। করণা নামক এই মহামারী সারা পৃথিবীতে ব্যাপক প্রাণহানি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পৃথিবীর তার বিগত দিনের মতোই সকল বিপর্যয় কাটিয়ে আবারো চলবে আপন গতিতে। আশা করা যায় বিপর্যয় কেটে ওঠার পরে সারা পৃথিবী জুড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অনলাইন এক্টিভিটিস শক্তিশালী জায়গা করে নেবে। যা ইতিমধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোতে বেশ লক্ষণীয়। শুধু সংবাদমাধ্যমই নয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজ নিজ দপ্তরে গিয়ে অফিস করার বিষয়টি অনেকাংশে কমে আসবে। যেমন প্রক্রিয়া চালু করেছে গুগল মাইক্রোসফট অ্যামাজন সহ বেশ কিছু কোম্পানি সমূহ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে এমন কোম্পানিগুলোতে নির্দিষ্ট কর্পোরেট অফিস থেকে নিজ বাসায় বসে এই সমস্ত কোম্পানির ১৩% কার্য সম্পন্ন করা হয়।

আশা করছি অচিরেই পৃথিবীর এই আতঙ্ক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে মানুষ ফিরবে তার নির্দিষ্ট কর্মস্থলে। তবে এটা ঠিক সারা পৃথিবীতে মানুষের জীবনযাত্রাতেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তার সাথে সাথে পরিবর্তন আসবে বিশ্বের সংবাদমাধ্যম গুলোর। ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে অনেক কাগজের পত্রিকা ছাপানো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন গণমাধ্যম। এমনি করে সারা পৃথিবী জুড়ে অনলাইন গণমাধ্যম এর জয়জয়কার হয়ে উঠবে অচিরেই।

 

লেখক; হাফিজুর রহমান শফিক, সম্পাদক- সকালের সংবাদ।