ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




১৮০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করছে বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন * সবাইকে স্বপদে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে * ইতিমধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ৩০ জন

সকালের সংবাদ;
তৃণমূলের ১৮০ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে এসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এদের বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী এবং দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি মনোনয়ন দেয়ার পর বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব বিএনপির। তাই আগের অবস্থান থেকে সরে আসায় বহিষ্কৃতদের স্বপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি যৌক্তিক মনে করছেন দলীয় হাইকমান্ড। ইতিমধ্যে তৃণমূলের অন্তত ৩০ নেতা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় দফতরে আবেদনও করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন তাদের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। অনেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদনও করেছেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যুগান্তরকে বলেন, দলের এমপিরা শপথ নিয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বগুড়া-৬ উপনির্বাচনেও অংশ নেয়ার কথা শুনছি। কোনো সিদ্ধান্তেই তো আমরা অটল থাকতে পারছি না। নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। এজন্য উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাটাই স্বাভাবিক।

দলটির দফতর সূত্রে জানা গেছে, দলের হাইকমান্ড বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ভুল স্বীকার করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য তাদের আবেদন করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। ইতিমধ্যে ৩০টিরও বেশি আবেদন দলের কেন্দ্রীয় দফতরে জমাও পড়েছে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর থেকেই এটিকে ‘ডাকাতি’ ও ‘প্রহসনের’ নির্বাচন দাবি করে আসছে বিএনপি। এরপর ২৪ জানুয়ারি দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনেও অংশ নেয়নি বিএনপি।

এরপর উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি। যদিও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অধিকাংশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয় স্থানীয় নেতারা, যার কারণে তাদের বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি ৯ জনকে, ২৮ ফেরুয়ারি ১০ জন, ১ মার্চ ১ জন, ৩ মার্চ ৮২ জন, ৫ মার্চ ৮ জনসহ বাকিদের ধাপে ধাপে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, দলের নির্বাচিত এমপিদেরও শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কৌশলগত কারণে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। এখন বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নীতিনির্ধারকদের। সেক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে দল। তাহলে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা বহিষ্কার হয়েছেন তাদের বহিষ্কারাদেশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না- এ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করেই হাইকমান্ড তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১৮০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করছে বিএনপি

আপডেট সময় : ১১:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন * সবাইকে স্বপদে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে * ইতিমধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ৩০ জন

সকালের সংবাদ;
তৃণমূলের ১৮০ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে এসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এদের বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী এবং দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি মনোনয়ন দেয়ার পর বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব বিএনপির। তাই আগের অবস্থান থেকে সরে আসায় বহিষ্কৃতদের স্বপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি যৌক্তিক মনে করছেন দলীয় হাইকমান্ড। ইতিমধ্যে তৃণমূলের অন্তত ৩০ নেতা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় দফতরে আবেদনও করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন তাদের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। অনেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদনও করেছেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যুগান্তরকে বলেন, দলের এমপিরা শপথ নিয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বগুড়া-৬ উপনির্বাচনেও অংশ নেয়ার কথা শুনছি। কোনো সিদ্ধান্তেই তো আমরা অটল থাকতে পারছি না। নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। এজন্য উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাটাই স্বাভাবিক।

দলটির দফতর সূত্রে জানা গেছে, দলের হাইকমান্ড বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ভুল স্বীকার করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য তাদের আবেদন করতে হবে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। ইতিমধ্যে ৩০টিরও বেশি আবেদন দলের কেন্দ্রীয় দফতরে জমাও পড়েছে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর থেকেই এটিকে ‘ডাকাতি’ ও ‘প্রহসনের’ নির্বাচন দাবি করে আসছে বিএনপি। এরপর ২৪ জানুয়ারি দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনেও অংশ নেয়নি বিএনপি।

এরপর উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি। যদিও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অধিকাংশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয় স্থানীয় নেতারা, যার কারণে তাদের বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি ৯ জনকে, ২৮ ফেরুয়ারি ১০ জন, ১ মার্চ ১ জন, ৩ মার্চ ৮২ জন, ৫ মার্চ ৮ জনসহ বাকিদের ধাপে ধাপে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, দলের নির্বাচিত এমপিদেরও শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কৌশলগত কারণে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। এখন বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নীতিনির্ধারকদের। সেক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে দল। তাহলে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা বহিষ্কার হয়েছেন তাদের বহিষ্কারাদেশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না- এ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করেই হাইকমান্ড তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।