ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ঘর ছেড়েছে সাড়ে ১২ লাখ মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তাণ্ডব থেকে রক্ষায় উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থান ও প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।

তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ৭১টি। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবো।’

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদিন, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য যে প্রস্তুতি আছে, আশা করি আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। কোনো প্রাণহানি হবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশের আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে এটি আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানবে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২০০ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ফণী। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এরপর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।

সামছুদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়া হবে। শুক্রবার সারারাত এবং শনিবার সারাদিন দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। বাংলাদেশে যখন আঘাত হানবে তখন বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ঘর ছেড়েছে সাড়ে ১২ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ১২:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র তাণ্ডব থেকে রক্ষায় উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থান ও প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।

তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ৪ হাজার ৭১টি। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ১৫ থেকে ১৮ লাখ মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবো।’

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদিন, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য যে প্রস্তুতি আছে, আশা করি আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। কোনো প্রাণহানি হবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশের আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে এটি আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানবে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২০০ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ফণী। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এরপর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর।

সামছুদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়া হবে। শুক্রবার সারারাত এবং শনিবার সারাদিন দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। বাংলাদেশে যখন আঘাত হানবে তখন বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকবে।