ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




বছর পার হলেও পূরণ হয়নি ছাত্রলীগের শূন্য অর্ধশত পদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক;

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য অর্ধশত পদ। এসব পদ পূরণের আশ্বাস দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় পার করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এখন পর্যন্ত পদগুলো পূরণের কোনো আভাস পাচ্ছেন না পদপ্রত্যাশী নেতারা। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সংগঠনটির ত্যাগী নেতাদের মধ্যে।

২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। ঘোষণার পর পরই কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, মাদক কারবার, চাকরিজীবী, বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এরপর এসব পদে থাকা বিতর্কিতদের সরিয়ে রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবিতে ছাত্রলীগের একটি অংশ প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন পদবঞ্চিতরা।

ভেবেছিলাম শোভন-রাব্বানী বহিষ্কারের পর সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। কিন্তু জয়-লেখকও তাদের পথেই হাঁটছেন

এর মধ্যে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের দায়ে ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় যথাক্রমে শোভন ও রাব্বানীকে। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেয়া হয় যথাক্রমে সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েক দিন সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে বেশ সক্রিয় হন দুই নেতা। ডিসেম্বরে তারা বিতর্কিত সেই নেতাদের পদচ্যুত করেন। একই সঙ্গে সেসব পদে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদায়ন করার কথা বলেন। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও সেসব পদ আর পূরণ হয়নি।

ছাত্রলীগের একটি অংশের অভিযোগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য থাকা এসব পদে যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়নের চেয়ে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে পছন্দের লোকদের পদোন্নয়ন ও পদায়ন করার জন্য তারা বিষয়টি দীর্ঘায়িত করছেন। এছাড়া জয়-লেখক ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসার পর তাদেরও নতুন ‘বলয়’ তৈরি হয়েছে। তারা তাদের ‘বলয়’ও অতিক্রম করতে পারছেন না। আবার আগে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজপথের সক্রিয় কর্মীবৃন্দ’ ব্যানারে মিছিল, অবস্থান, অনশন করা পদবঞ্চিতদের পদায়নও করতে পারছেন না।

পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, প্রথমে বিতর্কিতদের পদশূন্য করবে বলে সাত মাস পার করেছে। এখন সেসব পদে যোগ্য ও ত্যাগীদের পদায়ন করবে বলেও বছর পার করছে। আমাদের সামনে ‘আশার মুলো’ ঝুলিয়ে কেবলই কালক্ষেপণ করে যাচ্ছে।

শূন্য পদ পূরণের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের এখন এসব পদ পূরণে কোনো বাধা নেই

২০১৯ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরপরই আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিতরা

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা (ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতা) শূন্যপদ পূরণের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের এখন এসব পদ পূরণে কোনো বাধা নেই।

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা শেখ নকিবুল হাসান সুমন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম শোভন-রাব্বানী বহিষ্কার হওয়ার পর সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। কিন্তু জয়-লেখকও তাদের পথেই হাঁটছেন। আমরা তাদের অনেক সময় দিয়েছি। এখন তাদের আর কোনো সময় দেয়া হবে না। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগে গতিশীলতা আনার জন্য নতুন সম্মেলনের দাবিতে মাঠে সোচ্চার হবো।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা এখন এটা নিয়েই কাজ করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বছর পার হলেও পূরণ হয়নি ছাত্রলীগের শূন্য অর্ধশত পদ

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক;

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য অর্ধশত পদ। এসব পদ পূরণের আশ্বাস দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় পার করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এখন পর্যন্ত পদগুলো পূরণের কোনো আভাস পাচ্ছেন না পদপ্রত্যাশী নেতারা। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সংগঠনটির ত্যাগী নেতাদের মধ্যে।

২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। ঘোষণার পর পরই কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, মাদক কারবার, চাকরিজীবী, বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এরপর এসব পদে থাকা বিতর্কিতদের সরিয়ে রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবিতে ছাত্রলীগের একটি অংশ প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন পদবঞ্চিতরা।

ভেবেছিলাম শোভন-রাব্বানী বহিষ্কারের পর সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। কিন্তু জয়-লেখকও তাদের পথেই হাঁটছেন

এর মধ্যে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের দায়ে ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় যথাক্রমে শোভন ও রাব্বানীকে। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেয়া হয় যথাক্রমে সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েক দিন সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে বেশ সক্রিয় হন দুই নেতা। ডিসেম্বরে তারা বিতর্কিত সেই নেতাদের পদচ্যুত করেন। একই সঙ্গে সেসব পদে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদায়ন করার কথা বলেন। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও সেসব পদ আর পূরণ হয়নি।

ছাত্রলীগের একটি অংশের অভিযোগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য থাকা এসব পদে যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়নের চেয়ে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে পছন্দের লোকদের পদোন্নয়ন ও পদায়ন করার জন্য তারা বিষয়টি দীর্ঘায়িত করছেন। এছাড়া জয়-লেখক ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসার পর তাদেরও নতুন ‘বলয়’ তৈরি হয়েছে। তারা তাদের ‘বলয়’ও অতিক্রম করতে পারছেন না। আবার আগে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজপথের সক্রিয় কর্মীবৃন্দ’ ব্যানারে মিছিল, অবস্থান, অনশন করা পদবঞ্চিতদের পদায়নও করতে পারছেন না।

পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, প্রথমে বিতর্কিতদের পদশূন্য করবে বলে সাত মাস পার করেছে। এখন সেসব পদে যোগ্য ও ত্যাগীদের পদায়ন করবে বলেও বছর পার করছে। আমাদের সামনে ‘আশার মুলো’ ঝুলিয়ে কেবলই কালক্ষেপণ করে যাচ্ছে।

শূন্য পদ পূরণের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের এখন এসব পদ পূরণে কোনো বাধা নেই

২০১৯ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরপরই আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিতরা

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা (ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতা) শূন্যপদ পূরণের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের এখন এসব পদ পূরণে কোনো বাধা নেই।

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা শেখ নকিবুল হাসান সুমন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম শোভন-রাব্বানী বহিষ্কার হওয়ার পর সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। কিন্তু জয়-লেখকও তাদের পথেই হাঁটছেন। আমরা তাদের অনেক সময় দিয়েছি। এখন তাদের আর কোনো সময় দেয়া হবে না। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগে গতিশীলতা আনার জন্য নতুন সম্মেলনের দাবিতে মাঠে সোচ্চার হবো।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা এখন এটা নিয়েই কাজ করছি।’