ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




দেশে সহসা কমছে না জ্বালানি তেলের দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০ ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক হারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে সহসা কমছে না।

বুধবার (১৯ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেড় লাখ টন পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আভাস দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।

দাম কমানো উচিত কিনা অর্থমন্ত্রী হিসেবে কী মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার কোনো মতামত নেই।’

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শুরু হওয়ায় এ বছরের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের দাম কম ছিল। এর মধ্যে আবার সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে বৈরিতায় মার্চ-এপ্রিলে দ্রুত নেমে যায় দাম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ায় একপর্যায়ে দাম একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ব্যারেলপ্রতি ৪০-৪৫ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে।

একই প্রশ্ন করা হলে ১০ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এ বছর দেশে দাম কমার কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, আমরা এখনও ওই সুবিধার জায়গায় যেতে পারিনি। কারণ আমরা আগের তেল এখনও বিক্রি করার সুযোগ পাইনি। বেশ কিছুদিন জ্বালানি কোথাও ব্যবহার হয়নি। আমরা আশা করি, এখন যদি জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারি এবং এখনকার রেট অনুযায়ী যদি জ্বালানি তেল আনতে পারি তাহলে হয়তো সরকার ভবিষ্যতে এটা বিবেচনা করবে। কিন্তু এটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আমি তো চাই কম দামে তেল আনতে। কম দামে তেল এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে উৎপাদন খরচ কম হতো। আমাদের তেলের যে পরিমাণ স্টক রয়েছে সেটাকে আগে শেষ করতে হবে। স্টক শেষ করতে হলে আমাকে তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু রাখতে হবে, যানবাহন চালু রাখতে হবে, জাহাজ চালু রাখতে হবে। কিন্তু এটা করোনার কারণে সম্ভব নয়। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা খুব বেশি সুবিধা পাব (দাম কমানো) সেটা আশা করা ঠিক হবে না। অন্তত এ বছর এ সুবিধা পাওয়ার আশা করা যায় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেশে সহসা কমছে না জ্বালানি তেলের দাম

আপডেট সময় : ১১:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক হারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে সহসা কমছে না।

বুধবার (১৯ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেড় লাখ টন পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আভাস দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।

দাম কমানো উচিত কিনা অর্থমন্ত্রী হিসেবে কী মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার কোনো মতামত নেই।’

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শুরু হওয়ায় এ বছরের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের দাম কম ছিল। এর মধ্যে আবার সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে বৈরিতায় মার্চ-এপ্রিলে দ্রুত নেমে যায় দাম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ায় একপর্যায়ে দাম একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ব্যারেলপ্রতি ৪০-৪৫ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে।

একই প্রশ্ন করা হলে ১০ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এ বছর দেশে দাম কমার কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, আমরা এখনও ওই সুবিধার জায়গায় যেতে পারিনি। কারণ আমরা আগের তেল এখনও বিক্রি করার সুযোগ পাইনি। বেশ কিছুদিন জ্বালানি কোথাও ব্যবহার হয়নি। আমরা আশা করি, এখন যদি জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারি এবং এখনকার রেট অনুযায়ী যদি জ্বালানি তেল আনতে পারি তাহলে হয়তো সরকার ভবিষ্যতে এটা বিবেচনা করবে। কিন্তু এটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আমি তো চাই কম দামে তেল আনতে। কম দামে তেল এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে উৎপাদন খরচ কম হতো। আমাদের তেলের যে পরিমাণ স্টক রয়েছে সেটাকে আগে শেষ করতে হবে। স্টক শেষ করতে হলে আমাকে তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু রাখতে হবে, যানবাহন চালু রাখতে হবে, জাহাজ চালু রাখতে হবে। কিন্তু এটা করোনার কারণে সম্ভব নয়। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা খুব বেশি সুবিধা পাব (দাম কমানো) সেটা আশা করা ঠিক হবে না। অন্তত এ বছর এ সুবিধা পাওয়ার আশা করা যায় না।