ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মসমর্পণ করছেন কবে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০১৯ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিচারিক আদালতে রায়ের এই অনুলিপি পৌঁছায় বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর তা বিচারিক আদালতে পৌঁছা ও জামিনপ্রাপ্তদের হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি নেতাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।

সে হিসাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার আত্মসমর্পণের দিন গণণা শুরু হয়েছে আজ (বুধবার) বিকেল থেকে।

কিন্তু কবে আত্মসমর্পণ করবেন বিএনপির ১৪ নেতা? তা নিশ্চিত করেননি এই আইনজীবী।

এখন দেখার পালা তারা কবে আত্মসমর্পণ করছেন।

এর আগে ৩১ জনকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ ওই রায় ঘোষণা দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

প্রকাশিত রায়ে হাইকোর্টকে কেবল ব্যতিক্রমী মামলার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে আগাম জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়।

এ ছাড়া মামলার চার্জশিট হয়ে গেলে আগাম জামিন আর কার্যকর থাকবে না এবং আগাম জামিনের কোনো অপব্যবহার হলে সে জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।

সেই সঙ্গে যে কোনো মামলায় কাউকে আট সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়।

আগাম জামিন দেয়ার পর সেটা কোনোভাবেই মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর তা কার্যকর থাকবে না।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। পরে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩১ নেতার জামিন বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে গত সপ্তাহে এরই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

এসব নেতার নামে ২০১৮ সালের বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে ওই রায় দেন আপিল বিভাগ।

সেইসঙ্গে এই রায়ের কপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি মহাসচিবসহ শীর্ষ ১৪ নেতাকে নিম্ন (বিচারিক) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

যাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মঞ্জুর মোরশেদ, বরকতউল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকটে শাখাওয়াত হোসেন, হাজী সালাহউদ্দিন ও মো. আমিনুর রহমান (এখানে ১৬ জন রয়েছেন, এর মধ্যে দুইজনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে না। তবে এই দুজনের নাম এখনও জানা যায়নি)।

তবে, আত্মসমর্পণের পর এই নেতারা জামিনের আবেদন করলে আইন ও তথ্য অনুসারে জামিনের জন্য তাদের প্রার্থনা বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মসমর্পণ করছেন কবে?

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিচারিক আদালতে রায়ের এই অনুলিপি পৌঁছায় বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর তা বিচারিক আদালতে পৌঁছা ও জামিনপ্রাপ্তদের হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি নেতাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।

সে হিসাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার আত্মসমর্পণের দিন গণণা শুরু হয়েছে আজ (বুধবার) বিকেল থেকে।

কিন্তু কবে আত্মসমর্পণ করবেন বিএনপির ১৪ নেতা? তা নিশ্চিত করেননি এই আইনজীবী।

এখন দেখার পালা তারা কবে আত্মসমর্পণ করছেন।

এর আগে ৩১ জনকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ ওই রায় ঘোষণা দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

প্রকাশিত রায়ে হাইকোর্টকে কেবল ব্যতিক্রমী মামলার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে আগাম জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়।

এ ছাড়া মামলার চার্জশিট হয়ে গেলে আগাম জামিন আর কার্যকর থাকবে না এবং আগাম জামিনের কোনো অপব্যবহার হলে সে জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।

সেই সঙ্গে যে কোনো মামলায় কাউকে আট সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়।

আগাম জামিন দেয়ার পর সেটা কোনোভাবেই মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর তা কার্যকর থাকবে না।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। পরে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩১ নেতার জামিন বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে গত সপ্তাহে এরই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

এসব নেতার নামে ২০১৮ সালের বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে ওই রায় দেন আপিল বিভাগ।

সেইসঙ্গে এই রায়ের কপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি মহাসচিবসহ শীর্ষ ১৪ নেতাকে নিম্ন (বিচারিক) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

যাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মঞ্জুর মোরশেদ, বরকতউল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকটে শাখাওয়াত হোসেন, হাজী সালাহউদ্দিন ও মো. আমিনুর রহমান (এখানে ১৬ জন রয়েছেন, এর মধ্যে দুইজনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে না। তবে এই দুজনের নাম এখনও জানা যায়নি)।

তবে, আত্মসমর্পণের পর এই নেতারা জামিনের আবেদন করলে আইন ও তথ্য অনুসারে জামিনের জন্য তাদের প্রার্থনা বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।