ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




বেশ জমেছে সিইসির ভাগ্নে ও রনির লড়াই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন। কারণ এ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাগ্নে এসএম শাহজাদা সাজু। উভয় প্রার্থীরই ব্যস্ত সময় কাটছে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে। ভোটের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে দুই দলই।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম শাহজাদা সাজু বলছেন, এই আসনে বিরোধীদলীয় কোনো প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই স্থান থেকেই গোলাম মাওলা রনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারের জন্য তিনি যখন এলাকায় প্রবেশ করেন তখন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রসঙ্গে তিনি জানান, সবাইকে কঠিনভাবে নির্দেশ দেয়া আছে, আমরা শান্তিকামী, আমাদের নেত্রী শান্তিকামী। এখানে সব শান্তিপূর্ণ অবস্থায় চলবে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বাধা দেয়ার কোনো ঘটনা কখনও ঘটেনি। তিনি (গোলাম মাওলা রনি) একদিন গভীর রাতে এলাকায় প্রবেশ করেছেন এবং বাসার ভেতরেই আছেন। তিনি তো বাইরেই বের হননি, তাকে বাধা দেবে কোথায়?

এছাড়া মামা-ভাগ্নে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামা সিইসি কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি তার পরিবারের অংশ না। আমি রাজনীতি করি আমার মতো করে। এখানে তার কোনো প্রভাব নেই। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।’

এদিকে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি জানান, ঝাড়ু মিছিল কারা করে? ঝাড়ু কারা দেয়? আমি জানি না সেই ঝাড়ুতে কী ময়লা লাগানো ছিল? যারা ঝাড়ু বহন করে সমাজে এক সময় তাদের ‘মেথর শ্রেণি’ বলত। গলাচিপায় তারা (আওয়ামী লীগ) মেথর নিয়েই রাজনীতি করেন।

বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি জানান, সিইসি মূলত আওয়ামী লীগের তৃতীয় শ্রেণির নেতা। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমার এজেন্ট হিসেবে তিনি আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তাই তার সম্পর্কে আমি নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাই না।

নির্বাচনের কৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, নির্বাচনে হাজার রকম কৌশল রয়েছে। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যে পন্থা অবলম্বন করছে আমরা সেই পন্থা অবলম্বন করব না। বিকল্প অন্য পন্থায় জনগণের কাছে যাব। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ না হয়।

তিনি বলেন, আল্লাহ মানুষকে দুটি জিনিস দিয়েছেন। একটি হলো মেধা, অপরটি মননশীলতা। মাথায় বুদ্ধি থাকলে কখনও মারামারি করতে হয় না। বেয়াক্কেল লোকেরা সাধারণত মারামারি করে। আমি বেয়াক্কেল লোক হিসেবে নেতাকর্মীদের উত্তিজিত করে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার কোনো সুযোগ দিতে চাই না।

তবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, নির্বাচনী মাঠ সবার জন্য সমান থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেনি। সরকারি দল এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে অসহায় হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপরও জনতার ঢল নামবে বলে আমরা আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বেশ জমেছে সিইসির ভাগ্নে ও রনির লড়াই

আপডেট সময় : ০১:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন। কারণ এ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাগ্নে এসএম শাহজাদা সাজু। উভয় প্রার্থীরই ব্যস্ত সময় কাটছে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে। ভোটের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে দুই দলই।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম শাহজাদা সাজু বলছেন, এই আসনে বিরোধীদলীয় কোনো প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই স্থান থেকেই গোলাম মাওলা রনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারের জন্য তিনি যখন এলাকায় প্রবেশ করেন তখন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রসঙ্গে তিনি জানান, সবাইকে কঠিনভাবে নির্দেশ দেয়া আছে, আমরা শান্তিকামী, আমাদের নেত্রী শান্তিকামী। এখানে সব শান্তিপূর্ণ অবস্থায় চলবে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বাধা দেয়ার কোনো ঘটনা কখনও ঘটেনি। তিনি (গোলাম মাওলা রনি) একদিন গভীর রাতে এলাকায় প্রবেশ করেছেন এবং বাসার ভেতরেই আছেন। তিনি তো বাইরেই বের হননি, তাকে বাধা দেবে কোথায়?

এছাড়া মামা-ভাগ্নে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামা সিইসি কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি তার পরিবারের অংশ না। আমি রাজনীতি করি আমার মতো করে। এখানে তার কোনো প্রভাব নেই। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।’

এদিকে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি জানান, ঝাড়ু মিছিল কারা করে? ঝাড়ু কারা দেয়? আমি জানি না সেই ঝাড়ুতে কী ময়লা লাগানো ছিল? যারা ঝাড়ু বহন করে সমাজে এক সময় তাদের ‘মেথর শ্রেণি’ বলত। গলাচিপায় তারা (আওয়ামী লীগ) মেথর নিয়েই রাজনীতি করেন।

বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি জানান, সিইসি মূলত আওয়ামী লীগের তৃতীয় শ্রেণির নেতা। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমার এজেন্ট হিসেবে তিনি আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তাই তার সম্পর্কে আমি নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাই না।

নির্বাচনের কৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, নির্বাচনে হাজার রকম কৌশল রয়েছে। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যে পন্থা অবলম্বন করছে আমরা সেই পন্থা অবলম্বন করব না। বিকল্প অন্য পন্থায় জনগণের কাছে যাব। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ না হয়।

তিনি বলেন, আল্লাহ মানুষকে দুটি জিনিস দিয়েছেন। একটি হলো মেধা, অপরটি মননশীলতা। মাথায় বুদ্ধি থাকলে কখনও মারামারি করতে হয় না। বেয়াক্কেল লোকেরা সাধারণত মারামারি করে। আমি বেয়াক্কেল লোক হিসেবে নেতাকর্মীদের উত্তিজিত করে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার কোনো সুযোগ দিতে চাই না।

তবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, নির্বাচনী মাঠ সবার জন্য সমান থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেনি। সরকারি দল এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে অসহায় হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপরও জনতার ঢল নামবে বলে আমরা আশাবাদী।