ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




চীন থেকে এল কিট ও মাস্ক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক,

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন থেকে এসেছে মেডিকেল সরঞ্জাম। এতে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার থার্মোমিটার রয়েছে। কুনমিং থেকে আসা চীনের একটি কার্গো উড়োজাহাজ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকায় আসার পর এসব সরঞ্জাম বিমানবন্দরে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

চীন সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চিকিৎসাসামগ্রী সহায়তা দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসব টেস্ট কিট, পিপিই, থার্মোমিটার এসেছে। এর আগে প্রথম দফায় চীন বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল।

প্রায় যাত্রীশূন্য বিমানবন্দর
চারটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল থাকলেও প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গতকাল বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুদিনে এই বিমানবন্দরে প্রায় ৩৪টির মতো ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কার্গো ফ্লাইট। অল্প কিছু যাত্রীবাহী ফ্লাইট এলেও সেগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং ও থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর দুদিন পর মঙ্গলবার থেকে থাই এয়ারওয়েজও ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বাকি তিনটি দেশের সঙ্গে অল্প কিছু ফ্লাইট চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যা বেশ কম থাকছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে আজ ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৫৪৮ জন যাত্রী ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন মাত্র ৭৬ জন। তবে বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া ও ভুটানে গেছেন ৩৬৪ জন। এদের সবাই ছিলেন ঢাকায় মালয়েশিয়া ও ভুটানের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বেবিচকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল রাতে ঢাকা ছাড়েন ২২৫ জন মালয়েশিয়ান। এর পর আজ সকালে ড্রুক এয়ারের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে থিম্পু গেছেন ১৩৯ জন ভুটানি। এদের মধ্যে ভুটান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভুটানের কিছু শিক্ষার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চীন থেকে এল কিট ও মাস্ক

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক,

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন থেকে এসেছে মেডিকেল সরঞ্জাম। এতে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার থার্মোমিটার রয়েছে। কুনমিং থেকে আসা চীনের একটি কার্গো উড়োজাহাজ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকায় আসার পর এসব সরঞ্জাম বিমানবন্দরে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

চীন সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চিকিৎসাসামগ্রী সহায়তা দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসব টেস্ট কিট, পিপিই, থার্মোমিটার এসেছে। এর আগে প্রথম দফায় চীন বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল।

প্রায় যাত্রীশূন্য বিমানবন্দর
চারটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল থাকলেও প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গতকাল বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুদিনে এই বিমানবন্দরে প্রায় ৩৪টির মতো ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কার্গো ফ্লাইট। অল্প কিছু যাত্রীবাহী ফ্লাইট এলেও সেগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং ও থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর দুদিন পর মঙ্গলবার থেকে থাই এয়ারওয়েজও ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বাকি তিনটি দেশের সঙ্গে অল্প কিছু ফ্লাইট চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যা বেশ কম থাকছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে আজ ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৫৪৮ জন যাত্রী ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন মাত্র ৭৬ জন। তবে বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া ও ভুটানে গেছেন ৩৬৪ জন। এদের সবাই ছিলেন ঢাকায় মালয়েশিয়া ও ভুটানের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বেবিচকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল রাতে ঢাকা ছাড়েন ২২৫ জন মালয়েশিয়ান। এর পর আজ সকালে ড্রুক এয়ারের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে থিম্পু গেছেন ১৩৯ জন ভুটানি। এদের মধ্যে ভুটান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভুটানের কিছু শিক্ষার্থী।