ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




চীন থেকে এল কিট ও মাস্ক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০ ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক,

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন থেকে এসেছে মেডিকেল সরঞ্জাম। এতে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার থার্মোমিটার রয়েছে। কুনমিং থেকে আসা চীনের একটি কার্গো উড়োজাহাজ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকায় আসার পর এসব সরঞ্জাম বিমানবন্দরে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

চীন সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চিকিৎসাসামগ্রী সহায়তা দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসব টেস্ট কিট, পিপিই, থার্মোমিটার এসেছে। এর আগে প্রথম দফায় চীন বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল।

প্রায় যাত্রীশূন্য বিমানবন্দর
চারটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল থাকলেও প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গতকাল বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুদিনে এই বিমানবন্দরে প্রায় ৩৪টির মতো ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কার্গো ফ্লাইট। অল্প কিছু যাত্রীবাহী ফ্লাইট এলেও সেগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং ও থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর দুদিন পর মঙ্গলবার থেকে থাই এয়ারওয়েজও ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বাকি তিনটি দেশের সঙ্গে অল্প কিছু ফ্লাইট চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যা বেশ কম থাকছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে আজ ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৫৪৮ জন যাত্রী ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন মাত্র ৭৬ জন। তবে বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া ও ভুটানে গেছেন ৩৬৪ জন। এদের সবাই ছিলেন ঢাকায় মালয়েশিয়া ও ভুটানের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বেবিচকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল রাতে ঢাকা ছাড়েন ২২৫ জন মালয়েশিয়ান। এর পর আজ সকালে ড্রুক এয়ারের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে থিম্পু গেছেন ১৩৯ জন ভুটানি। এদের মধ্যে ভুটান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভুটানের কিছু শিক্ষার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চীন থেকে এল কিট ও মাস্ক

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক,

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন থেকে এসেছে মেডিকেল সরঞ্জাম। এতে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার থার্মোমিটার রয়েছে। কুনমিং থেকে আসা চীনের একটি কার্গো উড়োজাহাজ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকায় আসার পর এসব সরঞ্জাম বিমানবন্দরে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

চীন সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চিকিৎসাসামগ্রী সহায়তা দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসব টেস্ট কিট, পিপিই, থার্মোমিটার এসেছে। এর আগে প্রথম দফায় চীন বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল।

প্রায় যাত্রীশূন্য বিমানবন্দর
চারটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল থাকলেও প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে গেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গতকাল বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুদিনে এই বিমানবন্দরে প্রায় ৩৪টির মতো ফ্লাইট আসা-যাওয়া করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কার্গো ফ্লাইট। অল্প কিছু যাত্রীবাহী ফ্লাইট এলেও সেগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং ও থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর দুদিন পর মঙ্গলবার থেকে থাই এয়ারওয়েজও ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বাকি তিনটি দেশের সঙ্গে অল্প কিছু ফ্লাইট চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীসংখ্যা বেশ কম থাকছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে আজ ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৫৪৮ জন যাত্রী ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন মাত্র ৭৬ জন। তবে বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া ও ভুটানে গেছেন ৩৬৪ জন। এদের সবাই ছিলেন ঢাকায় মালয়েশিয়া ও ভুটানের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বেবিচকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল রাতে ঢাকা ছাড়েন ২২৫ জন মালয়েশিয়ান। এর পর আজ সকালে ড্রুক এয়ারের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে থিম্পু গেছেন ১৩৯ জন ভুটানি। এদের মধ্যে ভুটান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভুটানের কিছু শিক্ষার্থী।