ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক 




সাবেক এমপি রানার জামিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রানার জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রানার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

এ আদেশের ফলে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে এ মামলায় এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ জানুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আটক হওয়ার পর আড়াই বছরে তিনি কয়েক দফা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি নিয়ে তা বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এরপরেও সম্প্রতি তিনি হাইকোর্ট ফের জামিনের আবেদন করেন।

অন্যদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছরের ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা বলেন, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে আলোচিত এ মামলায় রানাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সাবেক এমপি রানার জামিন

আপডেট সময় : ০৪:২৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯

টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রানার জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রানার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

এ আদেশের ফলে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে এ মামলায় এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ জানুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আটক হওয়ার পর আড়াই বছরে তিনি কয়েক দফা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি নিয়ে তা বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এরপরেও সম্প্রতি তিনি হাইকোর্ট ফের জামিনের আবেদন করেন।

অন্যদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছরের ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা বলেন, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে আলোচিত এ মামলায় রানাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।