ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ঈদযাত্রায় এবারও বিশেষ ট্রেন মেলেনি রংপুরবাসীর ভাগ্যে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

রংপুর অফিস;

এবারও ঈদে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ পায়নি রংপুর। বিষয়টি নিয়ে রংপুরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আর প্রতিবারের মতো এবারও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাকে চলাচল করতে গিয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য দেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে শুধু লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে একটি বিশেষ ট্রেন সংযোজন করা হয়েছে। রংপুরের জন্য কোনো ট্রেন বরাদ্দ করা হয়নি।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রংপুর এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগরসহ ৪২টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে উত্তরাঞ্চলে। এসব ট্রেনে প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ হাজার যাত্রী রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। যাত্রীদের এ চাপ কমাতে বিশেষ ট্রেনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রংপুরের জন্য কখনই তা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ ঢাকা থেকে ঈদ করতে ঘরে ফেরা মানুষদের বিশাল একটি অংশ রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।

ঢাকায় কর্মরত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার শামীম রিয়াদ বলেন, প্রতি বছর ঈদে বাড়ি ফিরতে অনেক কষ্ট হয়। যাত্রীদের চাপের কারণে বাস-ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। এ ছাড়া অসাধু চক্র ট্রেনের টিকিট বেশি দামে কালোবাজারে বিক্রি করে। বিশেষ ট্রেন চালু থাকলে যাত্রীর চাপ কমত। স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারতাম। তিনি বলেন, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনেও যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা দরকার।

রংপুর ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল কবীর বলেন, ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেনের মধ্যে রংপুরের ভাগে একটিও নেই। বিভাগীয় এ জেলার অনেক মানুষ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় কাজ করেন। ঈদের দিন নাড়ির টানে তারা রংপুরে ফেরেন। ঈদের বিশেষ ট্রেন থাকলে সহজে নিম্ন আয়ের মানুষজন রংপুরে আসতে পারত। তিনি বলেন, ঈদের সময় বাড়তি চাপের কারণে মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস-ট্রেনের ছাদে করে ঘরে ফিরবেন। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়বে।

রংপুর রেলস্টেশন সুপার শোভন রায় বলেন, ঈদ উপলক্ষে রংপুর এখন পর্যন্ত বাড়তি কোনো ট্রেনের সুবিধা পায়নি। রংপুর এক্সপ্রেস এখনও ৯টি বগি নিয়েই চলাচল করছে। ঈদকে ঘিরে আলাদা বগি বাড়ার তেমন সম্ভাবনাও নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঈদযাত্রায় এবারও বিশেষ ট্রেন মেলেনি রংপুরবাসীর ভাগ্যে

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

রংপুর অফিস;

এবারও ঈদে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ পায়নি রংপুর। বিষয়টি নিয়ে রংপুরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আর প্রতিবারের মতো এবারও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাকে চলাচল করতে গিয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য দেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে শুধু লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে একটি বিশেষ ট্রেন সংযোজন করা হয়েছে। রংপুরের জন্য কোনো ট্রেন বরাদ্দ করা হয়নি।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রংপুর এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগরসহ ৪২টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে উত্তরাঞ্চলে। এসব ট্রেনে প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ হাজার যাত্রী রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। যাত্রীদের এ চাপ কমাতে বিশেষ ট্রেনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রংপুরের জন্য কখনই তা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ ঢাকা থেকে ঈদ করতে ঘরে ফেরা মানুষদের বিশাল একটি অংশ রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।

ঢাকায় কর্মরত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার শামীম রিয়াদ বলেন, প্রতি বছর ঈদে বাড়ি ফিরতে অনেক কষ্ট হয়। যাত্রীদের চাপের কারণে বাস-ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। এ ছাড়া অসাধু চক্র ট্রেনের টিকিট বেশি দামে কালোবাজারে বিক্রি করে। বিশেষ ট্রেন চালু থাকলে যাত্রীর চাপ কমত। স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারতাম। তিনি বলেন, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনেও যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা দরকার।

রংপুর ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল কবীর বলেন, ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেনের মধ্যে রংপুরের ভাগে একটিও নেই। বিভাগীয় এ জেলার অনেক মানুষ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় কাজ করেন। ঈদের দিন নাড়ির টানে তারা রংপুরে ফেরেন। ঈদের বিশেষ ট্রেন থাকলে সহজে নিম্ন আয়ের মানুষজন রংপুরে আসতে পারত। তিনি বলেন, ঈদের সময় বাড়তি চাপের কারণে মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস-ট্রেনের ছাদে করে ঘরে ফিরবেন। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়বে।

রংপুর রেলস্টেশন সুপার শোভন রায় বলেন, ঈদ উপলক্ষে রংপুর এখন পর্যন্ত বাড়তি কোনো ট্রেনের সুবিধা পায়নি। রংপুর এক্সপ্রেস এখনও ৯টি বগি নিয়েই চলাচল করছে। ঈদকে ঘিরে আলাদা বগি বাড়ার তেমন সম্ভাবনাও নেই।