ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ! Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডিপিডিসির প্রকৌশলী রাজ্জাক ধরাছোঁয়ার বাইরে পর্ব -১ Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র




মা-মেয়েসহ ৩ নারীকে ধর্ষণ, ভণ্ড পীর গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

সাভার প্রতিনিধি;
সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মা মেয়েসহ একই পরিবারের তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভণ্ড পীর মনির হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভণ্ড পীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আ. রহিমের ছেলে। তবে এ ঘটনার পর থেকে ভণ্ড পীরের সহযোগী মকবুল হোসেন পলাতক।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে এক প্রবাসীর স্ত্রী একই এলাকার ভণ্ড পীর মনির হোসেনের কাছে মুরীদ হন। ফলে ভণ্ড পীরের আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে কৌশলে ওই নারীর সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ভণ্ড পীর মনির।

তারপর ওই ভণ্ড পীরের নজর পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরীদ করে নেয় ভণ্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে সে। সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ভণ্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে ভণ্ড পীর।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে ভণ্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ভণ্ডপীর মনিরকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ বাড়ির পাঁচ তলায় সে নিজের আস্তানা তৈরি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আর তার এসব অপকর্মে সহায়তা এবং বিভিন্ন হতাশাগ্রস্ত নারীকে ফুসলিয়ে পীরের আস্তানায় নিয়ে আসার কাজ করতো সহযোগী মকবুল হোসেন।

ভুক্তভোগী ওই তিন নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মা-মেয়েসহ ৩ নারীকে ধর্ষণ, ভণ্ড পীর গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

সাভার প্রতিনিধি;
সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মা মেয়েসহ একই পরিবারের তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভণ্ড পীর মনির হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভণ্ড পীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আ. রহিমের ছেলে। তবে এ ঘটনার পর থেকে ভণ্ড পীরের সহযোগী মকবুল হোসেন পলাতক।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে এক প্রবাসীর স্ত্রী একই এলাকার ভণ্ড পীর মনির হোসেনের কাছে মুরীদ হন। ফলে ভণ্ড পীরের আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে কৌশলে ওই নারীর সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ভণ্ড পীর মনির।

তারপর ওই ভণ্ড পীরের নজর পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরীদ করে নেয় ভণ্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে সে। সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ভণ্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে ভণ্ড পীর।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে ভণ্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ভণ্ডপীর মনিরকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ বাড়ির পাঁচ তলায় সে নিজের আস্তানা তৈরি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আর তার এসব অপকর্মে সহায়তা এবং বিভিন্ন হতাশাগ্রস্ত নারীকে ফুসলিয়ে পীরের আস্তানায় নিয়ে আসার কাজ করতো সহযোগী মকবুল হোসেন।

ভুক্তভোগী ওই তিন নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।