বরিশালে “আত্মসমর্পণ” এর নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ।

- আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯ ৫২ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি;
বরিশালের কাউনিয়া থানার আওতাধীন কয়েকটি চিন্হিত মাদক স্পট (পলাশপুর,বৌ বাজার, মরক খোলার পুল) ও কোতোয়ালি থানার আওতাধীন চিন্হিত মাদক স্পট (রসুল পুর কলোনি, কলাপট্টি, কসাইখানা,দপ্তরখানা) সহ বেশ কয়েকটি যায়গার চিন্হিত মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা প্রতারক চক্র। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায় ” নগরীর কথিত এক ফটো সাংবাদিক ও কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ী মিলে একটি চক্র তৈরি করে মাদক ব্যাবসায়ীদের সুস্থ জীবনে ফেরৎ এর জন্য আত্মসমর্পণ এর কথা বলে জন প্রতি নগদ তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গত দু মাসে। দু মাস ধরে চক্রটি “আত্মসমর্পণ ” এর কথা বলে নগরীর বিভিন্নস্থানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জানা গেছে নগদ জন প্রতি তিন হাজার ও অনুষ্ঠানের দিন জনপ্রতি আরও পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার কথা রয়েছে। লোক সংখ্যা প্রায় আশি জন”
অথচ, চক্রটি নিজেরাই প্রত্যক্ষভাবে মাদক ব্যাবসায় জড়িত ও বরিশাল শহরের বড় ধরনের মাদব্যাবসীদের নিকট আত্মীয় স্বজন। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী মনে করছেন এরা মোটা অংকের টাকা হাতানোর পাশাপাশি কৌশলে মাদকের চালানগুলো শেল্টারের পায়তারা করছে। কারন ইতিপূর্বেও এ চক্রটি বিভিন্ন স্থানে এমন চাঁদাবাজি করায় পত্র পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এদের চিন্হিত করে। চক্রের সদস্যরা শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকেও নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে প্রমাণ রয়েছে।
চক্রের প্রতারণার স্বীকার মাদব্যাবসীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন, ওই ভূয়া ফটো সাংবাদিক সরাসরিভাবে গাজা ব্যাবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সাহায্য করে আসছে। হাতেনাতে আজও ধরা পড়েনি।চক্রের প্রধান পলাশপুরে বাস করে,বাকিরা অন্যান্য এলাকার।
তবে চক্রটি কথিত বেশ কয়েকটি অনলাইন টিভি চ্যানেলের পরিচয় দিয়ে এ কাজ করে থাকে। এদের সব আত্মীয় স্বজনই একাধিক মাদক মামলায় জেলে,বাইরে অবস্থান করছে। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করলে সবই বেরিয়ে আসবে। আমি তিন হাজার টাকা দিলেও আমাকে সে পুলিশের কাছে নেয়নি,বরং আরও দুবার পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে আমাকে।
সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।