যশোরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা
- আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
জেলা প্রতিনিধি; যশোরের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করবে না। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিবাদে যশোরের সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নেতৃবৃন্দ অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর এ উৎসবকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করার জন্য সংস্কৃতিকর্মীরা নিরন্তর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের জন্য সহায়ক। অথচ সরকার প্রতিক্রিয়াশীল চক্রটিকে মোকাবেলা না করে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে শৃঙ্খলিত করার অপকৌশল গ্রহণ করেছে। যশোরের সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের শুরু থেকেই তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু তা উপেক্ষিত থাকায় প্রতিবাদ হিসেবে এবার পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিকেলের সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হলো।
একইসাথে আগামী রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ এবং বিকেলে শহরের চিত্রা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু ও ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, যুগ্ম সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রওশন আরা রাশু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, উদীচীর সহ-সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, পুনশ্চের প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার দাস, তীর্যকের প্রতিষ্ঠাতা দীপংকর দাস রতন, নৃত্য বিতানের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব চক্রবর্তী, সুর বিতানের সাবেক সম্পাদক বাসুদেব বিশ্বাস, শ্রুতির লিয়াকত আলী, সপ্তসুরের রফিকুল ইসলাম, যশোর শিল্পী গোষ্ঠীর প্রদীপ চক্রবর্তী রানা, স্বরলিপির নিবাস মন্ডল, ভৈরবের সম্পাদক খাদিজা ইসলাম তন্বী প্রমুখ।