ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক 




অরুণাচলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; অরুণাচলের পাসিঘাটে বৃহস্পতিবার সকালে সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মাঝরাতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর কনভয় তল্লাশি করে নগদ প্রায় দু’কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মোদির সভা শুরুর আগেই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরে কংগ্রেস বলছে ‘চৌকিদারই চোর’। টাকা দিয়ে ভোট কেনার সব থেকে বড় ঘটনা এটি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার ধরেন দুই নারী কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একজন নির্বাচন কমিশনের খরচের উপর নজরদারি করা পর্যবেক্ষক সমৃতা কৌর গিল। অন্যজন পাসিঘাটের জেলাশাসক কিন্নি সিং।

ফ্লাইং স্কোয়াড, পুলিশ ও কমিশনের পর্যবেক্ষকরা সিয়াং অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর কনভয়ের গাড়িগুলোতে তল্লাশি করে। অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু নিজেও সে সময় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি দিল্লির নজরে এনে কংগ্রেসের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত কমিশনের।

রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশের সভাপতি ও এবারের প্রার্থী তাপির গাওয়ের কনভয়ের গাড়িতে মোদির সভার জন্যই টাকা আনা হচ্ছিল। পেমা পদত্যাগ করুন এবং দুই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করুক কমিশন।

তবে পেমা খান্ডু বলেন, এক প্রার্থীর গাড়িতে টাকা পাওয়া গেছে। এই দায়িত্ব তার। টাকার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। প্রদেশের সভাপতি বিষয়টি দেখছেন। আর প্রদেশের সভাপতি গাও বলছেন, টাকার উৎস প্রার্থী বলতে পারবেন। হারের ভয়ে কংগ্রেস তাদের হেনস্থার চেষ্টা করছে।

আসলে যুব কংগ্রেসের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই ওই গাড়িগুলোতে তল্লাশি করা হয়। আর মেবো বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডেংগি প্রেমে বলেন, টাকা তার ছেলের। তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কমিশনের নোটিসও গিয়েছে ডেংগির কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অরুণাচলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার

আপডেট সময় : ১১:১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; অরুণাচলের পাসিঘাটে বৃহস্পতিবার সকালে সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মাঝরাতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর কনভয় তল্লাশি করে নগদ প্রায় দু’কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মোদির সভা শুরুর আগেই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরে কংগ্রেস বলছে ‘চৌকিদারই চোর’। টাকা দিয়ে ভোট কেনার সব থেকে বড় ঘটনা এটি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার ধরেন দুই নারী কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একজন নির্বাচন কমিশনের খরচের উপর নজরদারি করা পর্যবেক্ষক সমৃতা কৌর গিল। অন্যজন পাসিঘাটের জেলাশাসক কিন্নি সিং।

ফ্লাইং স্কোয়াড, পুলিশ ও কমিশনের পর্যবেক্ষকরা সিয়াং অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর কনভয়ের গাড়িগুলোতে তল্লাশি করে। অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু নিজেও সে সময় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি দিল্লির নজরে এনে কংগ্রেসের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত কমিশনের।

রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশের সভাপতি ও এবারের প্রার্থী তাপির গাওয়ের কনভয়ের গাড়িতে মোদির সভার জন্যই টাকা আনা হচ্ছিল। পেমা পদত্যাগ করুন এবং দুই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করুক কমিশন।

তবে পেমা খান্ডু বলেন, এক প্রার্থীর গাড়িতে টাকা পাওয়া গেছে। এই দায়িত্ব তার। টাকার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। প্রদেশের সভাপতি বিষয়টি দেখছেন। আর প্রদেশের সভাপতি গাও বলছেন, টাকার উৎস প্রার্থী বলতে পারবেন। হারের ভয়ে কংগ্রেস তাদের হেনস্থার চেষ্টা করছে।

আসলে যুব কংগ্রেসের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই ওই গাড়িগুলোতে তল্লাশি করা হয়। আর মেবো বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডেংগি প্রেমে বলেন, টাকা তার ছেলের। তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কমিশনের নোটিসও গিয়েছে ডেংগির কাছে।