ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

সাংবাদিকের পা ভেঙে দিলেন মেয়র!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার;
কক্সবাজারের মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় পৌর কাউন্সিলার ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এম সালামত উল্লাহ দ্বীপের যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার পুত্র পৌর মেয়রের নেতৃত্বাধীন একদল সন্ত্রাসীর হাতে বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র এবং বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী মকছুদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী একই পৌরসভার কাউন্সিলার ও সংবাদকর্মী এম সালামত উল্লাহকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্মমভাবে নির্যাতন করেন।

আজ বুধবার বিকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত পৌর কাউন্সিলরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে মহেশখালী পৌরসভাটিতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান মেয়র মো. মকছুদ মিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মেয়রের কথামতো পৌরসভার সকল কাউন্সিলারদের চলতে হয়। পৌরসভার কোনো সভা-সমাবেশও হয় না। মেয়রের নির্দেশেই কাউন্সিলরগণ কেবল দস্তখত দিতে বাধ্য হন। পৌরসভার কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকাশ্য টেন্ডার না করেই গোপনে মেয়র তার আত্মীয়-স্বজন দিয়ে কাজ সম্পাদন করেন।

এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার ছিলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণস সম্পাদক এম সালামত উল্লাহ। কাউন্সিলার এম সালামত উল্লাহ ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহত কাউন্সিলার বুধবার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে জানান, আমি মেয়রের অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করায় রোষের শিকার হয়েছি। এমনকি গত ক’দিন আগে মেয়রের অন্যায়-অনিয়মের বিষয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এ কারণেই মেয়র ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে আমাকে মঙ্গলবার রাতে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন একটি দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়।

আহত কাউন্সিলর আরো জানান, তাকে মেয়র নিজে এবং তার সন্ত্রাসী দলের সদস্য রুবেল, শামসুদ্দিন ও নুর হোসেনসহ আরো ক’জন মিলে ৪টি পৃথক স্থানে নিয়ে দফায় দফায় লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে হাতে, পায়ে ও সারা শরীরে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্যাতনের পর তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে তাকে একটি স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আত্মীয়-স্বজন উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ঘটনার ব্যাপারে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেছেন, মহেশখালী দ্বীপে একজন পৌর কাউন্সিলর সন্ত্রাসী কবলিত হবার খবর শুনেছি। কেউ অভিযোগ নিলে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশনা আমি ওসিকে দিয়েছি।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, একজন সংবাদকর্মী এবং কাউন্সিলারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এতবড় একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটার পরও থানায় কাউন্সিলারের পরিবারের পক্ষেও কেউ ভয়ে একটি অভিযোগ নিয়ে যাচ্ছে না। দ্বীপের সংবাদকর্মীরা বলেন, আমরাও যুদ্ধপরাধী পরিবারের ভয়ে তটস্থ। মেয়রের নেতৃত্বে কে কখন আবার আক্রান্ত হয়ে বসে বলা যায় না। মহেশখালী পৌরসভার মেয়রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস করছেন না।

খোদ দ্বীপের একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে আর কয়টা দিন নিরাপদে থাকার মতো অবস্থায় থাকতে দিন। এ বিষয়ে কিছুই আমার কাছে জানতে চাইবেন না। আমার নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।

এ বিষয়ে নির্যাতিত ওয়ার্ড কাউন্সিলারের স্ত্রী জুলেখা আকতার আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে বলেন, আমি বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জানা গেছে, মহেশখালী পৌরসভা অফিস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মেয়র মকছুদ মিয়া হচ্ছেন এক দাপুটে পরিবারের সদস্য। তার (মেয়র) প্রয়াত বাবা হাশেম সিকদার ছিলেন মহেশখালী দ্বীপের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি। মেয়রের জ্যেষ্ঠ ভাই মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি। যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান মেয়র মকছুদ কৌশলে কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েন। পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদও বাগিয়ে নেন তিনি।

আজ বুধবার মহেশখালী পৌরসভার ৪ জন পৌর কাউন্সিলারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের তিনজনই কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে মেয়র সর্ম্পকে ভয়ে কোনো তথ্য দিতেই অসম্মতি প্রকাশ করেন। তারা জানান, মেয়র সর্ম্পকে কোনো কিছুই আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

তবে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মো. মকছুদ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, এসব অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমি কাউকে কোনো নির্যাতন করিনি। কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ হয়তোবা কোনো অনৈতিক কাজে জড়িত হতে গিয়ে প্রহৃত হয়ে থাকতে পারেন।’ মহেশখালী দ্বীপের সংবাদকর্মী এম সালামত উল্লাহ মেয়রের হাতে নির্মমতার শিকার হবার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় দ্বীপের প্রেস ক্লাবে সংবাদকর্মীরা এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মাস আগে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মো. মকছুদ মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত পুত্র নিশান কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবার চালান নিয়ে রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার হন। এখনো পর্যন্ত সেই পুত্র কারাগারে আটক রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাংবাদিকের পা ভেঙে দিলেন মেয়র!

আপডেট সময় : ১১:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার;
কক্সবাজারের মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় পৌর কাউন্সিলার ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এম সালামত উল্লাহ দ্বীপের যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার পুত্র পৌর মেয়রের নেতৃত্বাধীন একদল সন্ত্রাসীর হাতে বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র এবং বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী মকছুদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী একই পৌরসভার কাউন্সিলার ও সংবাদকর্মী এম সালামত উল্লাহকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্মমভাবে নির্যাতন করেন।

আজ বুধবার বিকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত পৌর কাউন্সিলরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে মহেশখালী পৌরসভাটিতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান মেয়র মো. মকছুদ মিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মেয়রের কথামতো পৌরসভার সকল কাউন্সিলারদের চলতে হয়। পৌরসভার কোনো সভা-সমাবেশও হয় না। মেয়রের নির্দেশেই কাউন্সিলরগণ কেবল দস্তখত দিতে বাধ্য হন। পৌরসভার কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকাশ্য টেন্ডার না করেই গোপনে মেয়র তার আত্মীয়-স্বজন দিয়ে কাজ সম্পাদন করেন।

এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার ছিলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণস সম্পাদক এম সালামত উল্লাহ। কাউন্সিলার এম সালামত উল্লাহ ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহত কাউন্সিলার বুধবার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে জানান, আমি মেয়রের অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করায় রোষের শিকার হয়েছি। এমনকি গত ক’দিন আগে মেয়রের অন্যায়-অনিয়মের বিষয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এ কারণেই মেয়র ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে আমাকে মঙ্গলবার রাতে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন একটি দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়।

আহত কাউন্সিলর আরো জানান, তাকে মেয়র নিজে এবং তার সন্ত্রাসী দলের সদস্য রুবেল, শামসুদ্দিন ও নুর হোসেনসহ আরো ক’জন মিলে ৪টি পৃথক স্থানে নিয়ে দফায় দফায় লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে হাতে, পায়ে ও সারা শরীরে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্যাতনের পর তার মৃত্যু হয়েছে মনে করে তাকে একটি স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আত্মীয়-স্বজন উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ঘটনার ব্যাপারে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেছেন, মহেশখালী দ্বীপে একজন পৌর কাউন্সিলর সন্ত্রাসী কবলিত হবার খবর শুনেছি। কেউ অভিযোগ নিলে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশনা আমি ওসিকে দিয়েছি।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, একজন সংবাদকর্মী এবং কাউন্সিলারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এতবড় একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটার পরও থানায় কাউন্সিলারের পরিবারের পক্ষেও কেউ ভয়ে একটি অভিযোগ নিয়ে যাচ্ছে না। দ্বীপের সংবাদকর্মীরা বলেন, আমরাও যুদ্ধপরাধী পরিবারের ভয়ে তটস্থ। মেয়রের নেতৃত্বে কে কখন আবার আক্রান্ত হয়ে বসে বলা যায় না। মহেশখালী পৌরসভার মেয়রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস করছেন না।

খোদ দ্বীপের একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে আর কয়টা দিন নিরাপদে থাকার মতো অবস্থায় থাকতে দিন। এ বিষয়ে কিছুই আমার কাছে জানতে চাইবেন না। আমার নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।

এ বিষয়ে নির্যাতিত ওয়ার্ড কাউন্সিলারের স্ত্রী জুলেখা আকতার আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে বলেন, আমি বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জানা গেছে, মহেশখালী পৌরসভা অফিস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মেয়র মকছুদ মিয়া হচ্ছেন এক দাপুটে পরিবারের সদস্য। তার (মেয়র) প্রয়াত বাবা হাশেম সিকদার ছিলেন মহেশখালী দ্বীপের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি। মেয়রের জ্যেষ্ঠ ভাই মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি। যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান মেয়র মকছুদ কৌশলে কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েন। পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদও বাগিয়ে নেন তিনি।

আজ বুধবার মহেশখালী পৌরসভার ৪ জন পৌর কাউন্সিলারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের তিনজনই কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে মেয়র সর্ম্পকে ভয়ে কোনো তথ্য দিতেই অসম্মতি প্রকাশ করেন। তারা জানান, মেয়র সর্ম্পকে কোনো কিছুই আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

তবে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মো. মকছুদ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, এসব অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমি কাউকে কোনো নির্যাতন করিনি। কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ হয়তোবা কোনো অনৈতিক কাজে জড়িত হতে গিয়ে প্রহৃত হয়ে থাকতে পারেন।’ মহেশখালী দ্বীপের সংবাদকর্মী এম সালামত উল্লাহ মেয়রের হাতে নির্মমতার শিকার হবার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় দ্বীপের প্রেস ক্লাবে সংবাদকর্মীরা এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মাস আগে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মো. মকছুদ মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত পুত্র নিশান কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবার চালান নিয়ে রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার হন। এখনো পর্যন্ত সেই পুত্র কারাগারে আটক রয়েছেন।