মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির ভোটে কারচুপি, ওসিসহ ৯ জনকে শোকজ

- আপডেট সময় : ১১:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭২ বার পড়া হয়েছে

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি;
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে থানার ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া এবং শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাসসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক কিশোর দত্ত আসামিদের শোকজ করেছেন। পাশাপাশি আসামিদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন,ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাদ্রাসা সভাপতি আব্দুল্লাহ হিলকাফি হিরা, ইসমাইল হোসেন, আজাদ আলী, জামাত আলী, মাওলানা শাহ আলম ও মোছা. মধুমালা খাতুন।
উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের করশালিকা ফাজিল রহমানিয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনে পরাজিত ৫ প্রার্থী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এরা হলেন,আবু বক্কার,জহুরুল ইসলাম,ফজলার প্রামাণিক,জহুরুল ইসলাম ও মোছা. ছারা খাতুন।
এ মামলার ১ নম্বর বাদী আবু বক্কার জানান,২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর করশালিকা ফাজিল রহমানিয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে নানা অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে আসামিরা তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেয়। ওই দিনই তারা ৫ জন বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আবেদন করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি সরেজমিন মাদ্রাসায় গিয়ে ভোটার,এলাকাবাসী,শিক্ষক,অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে তদন্ত কমিটির তাদের প্রতিবেদন দাখিল করলে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান বাদী আবু বক্কার।
আদালতের বিচারক কিশোর দত্ত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া ও শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের বিশ্বাস এবং মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা ইদ্রিস আলী বলেন,এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। আদালত থেকে এখনো কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও আদালতের পেশকার প্রদ্যুত ধর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।