ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




মাগুরার মহম্মদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

মাগুরা প্রতিনিধি; মাগুরার মহম্মদপুরে বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. পান্নু মোল্লা পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রউফকে হত্যার পর তার আপন ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব ওরফে মিলন বাদী হয়ে পান্নু মোল্লার বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকে চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লা পলাতক রয়েছেন। চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পরিষদে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ।

পান্নু মোল্লা বালিদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিনাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বডলিয়া নতুন বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লা ও তার লোকজন অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২৫ মার্চ বিকালে মারা যান অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ। পরে ২৬ মার্চ রাতে রউফের ছোট ভাই আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে চেয়ারম্যান পান্নুকে এক নম্বর আসামি করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে পান্নু মোল্লা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানান, মামলার কারণে চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজসহ দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গ্রাম্যসালিশ ও গ্রাম আদালতে করা অভিযোগের কোনো সমাধান হচ্ছে না। এছাড়াও জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ পেতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পান্নু রহমান জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে আমি দায়িত্বে আছি। কিন্তু চেয়াম্যান অনুপস্থিত থাকলেই আমি কোনো কাগজ বা নথিপত্রে স্বাক্ষর করতে পারি না। মিটিংয়ে রেজুলেশন করে পাস করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ দায়িত্ব বুঝে নিতে হয়। কিন্তু এ রকম কোনো পদক্ষেপ এখনও পযর্ন্ত নেয়া হয়নি। যার কারণে পরিষদ অভিভাবকহীন রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এখন কোনো কাজকর্মই হচ্ছে না। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

মহম্মদপুর থানার ওসি মো. রবিউল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান পান্নু অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহম্মদ আশিফুর রহমান জানান, দাফতরিক কাজে অসুবিধা হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ আমাকে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বা পরিষদের কোনো সদস্য জানাননি। জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাগুরার মহম্মদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক

আপডেট সময় : ১১:০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

মাগুরা প্রতিনিধি; মাগুরার মহম্মদপুরে বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. পান্নু মোল্লা পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রউফকে হত্যার পর তার আপন ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব ওরফে মিলন বাদী হয়ে পান্নু মোল্লার বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকে চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লা পলাতক রয়েছেন। চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পরিষদে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ।

পান্নু মোল্লা বালিদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিনাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বডলিয়া নতুন বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লা ও তার লোকজন অধ্যক্ষ আব্দুর রউফের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২৫ মার্চ বিকালে মারা যান অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ। পরে ২৬ মার্চ রাতে রউফের ছোট ভাই আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে চেয়ারম্যান পান্নুকে এক নম্বর আসামি করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে পান্নু মোল্লা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানান, মামলার কারণে চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজসহ দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গ্রাম্যসালিশ ও গ্রাম আদালতে করা অভিযোগের কোনো সমাধান হচ্ছে না। এছাড়াও জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ পেতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পান্নু রহমান জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে আমি দায়িত্বে আছি। কিন্তু চেয়াম্যান অনুপস্থিত থাকলেই আমি কোনো কাগজ বা নথিপত্রে স্বাক্ষর করতে পারি না। মিটিংয়ে রেজুলেশন করে পাস করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ দায়িত্ব বুঝে নিতে হয়। কিন্তু এ রকম কোনো পদক্ষেপ এখনও পযর্ন্ত নেয়া হয়নি। যার কারণে পরিষদ অভিভাবকহীন রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এখন কোনো কাজকর্মই হচ্ছে না। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পান্নু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

মহম্মদপুর থানার ওসি মো. রবিউল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান পান্নু অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহম্মদ আশিফুর রহমান জানান, দাফতরিক কাজে অসুবিধা হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ আমাকে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বা পরিষদের কোনো সদস্য জানাননি। জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।