ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রচার করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ নির্মাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়। এভাবেই নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন অরুন্ধতী রায়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনাকে উদাহরণ হিসেবে এনে তিনি বলেন, সেই সময়কালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার না করে উল্টো যুদ্ধ লাগাতে উসকানি দিয়েছিল।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

ওই সাক্ষাৎকারে আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসান অরুন্ধতীর কাছে জানতে চান, পাক-ভারত উত্তেজনা বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেমন ভূমিকা রেখেছে?

জবাবে অরুন্ধতী বলেন, কিছু কিছু ভারতীয় মিডিয়া পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সেসব মিডিয়াকে কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সেই সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপককে বলতে শোনা গেছে- ‘নিন্দা জানানোতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা রক্ত চাই।’

সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে তা বিস্ময়ের ব্যাপার বলে জানান তিনি। অরুন্ধতী বলেন, তবে আরও বিষয়ের ব্যাপার হলো- ভারতে ৪০০টির মতো ২৪ ঘণ্টা সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেল আছে। এদের অনেকেই নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে। সরকারের পতনেও এসব চ্যানেল ঠিকই টিকে থাকবে।

এর কারণ হিসেবে অরুন্ধতী রায় বলেন, এসব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বেশিরভাগের মালিক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের শেকড় বেশ গভীরে।

ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একাই ২৭টি চব্বিশ ঘণ্টা চালু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের মালিক তথ্য দিয়ে তিনি জানান, এখানে স্বার্থের সংঘাত অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রচার করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতী

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ নির্মাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়। এভাবেই নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন অরুন্ধতী রায়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনাকে উদাহরণ হিসেবে এনে তিনি বলেন, সেই সময়কালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার না করে উল্টো যুদ্ধ লাগাতে উসকানি দিয়েছিল।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

ওই সাক্ষাৎকারে আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসান অরুন্ধতীর কাছে জানতে চান, পাক-ভারত উত্তেজনা বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেমন ভূমিকা রেখেছে?

জবাবে অরুন্ধতী বলেন, কিছু কিছু ভারতীয় মিডিয়া পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সেসব মিডিয়াকে কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সেই সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপককে বলতে শোনা গেছে- ‘নিন্দা জানানোতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা রক্ত চাই।’

সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে তা বিস্ময়ের ব্যাপার বলে জানান তিনি। অরুন্ধতী বলেন, তবে আরও বিষয়ের ব্যাপার হলো- ভারতে ৪০০টির মতো ২৪ ঘণ্টা সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেল আছে। এদের অনেকেই নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে। সরকারের পতনেও এসব চ্যানেল ঠিকই টিকে থাকবে।

এর কারণ হিসেবে অরুন্ধতী রায় বলেন, এসব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বেশিরভাগের মালিক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের শেকড় বেশ গভীরে।

ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একাই ২৭টি চব্বিশ ঘণ্টা চালু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের মালিক তথ্য দিয়ে তিনি জানান, এখানে স্বার্থের সংঘাত অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেশি।