ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রচার করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ নির্মাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়। এভাবেই নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন অরুন্ধতী রায়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনাকে উদাহরণ হিসেবে এনে তিনি বলেন, সেই সময়কালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার না করে উল্টো যুদ্ধ লাগাতে উসকানি দিয়েছিল।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

ওই সাক্ষাৎকারে আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসান অরুন্ধতীর কাছে জানতে চান, পাক-ভারত উত্তেজনা বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেমন ভূমিকা রেখেছে?

জবাবে অরুন্ধতী বলেন, কিছু কিছু ভারতীয় মিডিয়া পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সেসব মিডিয়াকে কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সেই সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপককে বলতে শোনা গেছে- ‘নিন্দা জানানোতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা রক্ত চাই।’

সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে তা বিস্ময়ের ব্যাপার বলে জানান তিনি। অরুন্ধতী বলেন, তবে আরও বিষয়ের ব্যাপার হলো- ভারতে ৪০০টির মতো ২৪ ঘণ্টা সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেল আছে। এদের অনেকেই নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে। সরকারের পতনেও এসব চ্যানেল ঠিকই টিকে থাকবে।

এর কারণ হিসেবে অরুন্ধতী রায় বলেন, এসব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বেশিরভাগের মালিক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের শেকড় বেশ গভীরে।

ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একাই ২৭টি চব্বিশ ঘণ্টা চালু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের মালিক তথ্য দিয়ে তিনি জানান, এখানে স্বার্থের সংঘাত অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রচার করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম: অরুন্ধতী

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ নির্মাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়। এভাবেই নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন অরুন্ধতী রায়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত উত্তেজনাকে উদাহরণ হিসেবে এনে তিনি বলেন, সেই সময়কালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার না করে উল্টো যুদ্ধ লাগাতে উসকানি দিয়েছিল।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

ওই সাক্ষাৎকারে আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসান অরুন্ধতীর কাছে জানতে চান, পাক-ভারত উত্তেজনা বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেমন ভূমিকা রেখেছে?

জবাবে অরুন্ধতী বলেন, কিছু কিছু ভারতীয় মিডিয়া পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সেসব মিডিয়াকে কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সেই সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপককে বলতে শোনা গেছে- ‘নিন্দা জানানোতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা রক্ত চাই।’

সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে তা বিস্ময়ের ব্যাপার বলে জানান তিনি। অরুন্ধতী বলেন, তবে আরও বিষয়ের ব্যাপার হলো- ভারতে ৪০০টির মতো ২৪ ঘণ্টা সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেল আছে। এদের অনেকেই নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে। সরকারের পতনেও এসব চ্যানেল ঠিকই টিকে থাকবে।

এর কারণ হিসেবে অরুন্ধতী রায় বলেন, এসব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বেশিরভাগের মালিক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের শেকড় বেশ গভীরে।

ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একাই ২৭টি চব্বিশ ঘণ্টা চালু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের মালিক তথ্য দিয়ে তিনি জানান, এখানে স্বার্থের সংঘাত অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেশি।