জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখল: বি বাড়িয়া বিআরটিএ সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- আপডেট সময় : ১১:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১২০ বার পড়া হয়েছে
পিন্টু শেখ: জালিয়াতি মামলায় বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জালিয়াতি মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিয়ের সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ডিএমপির শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে ওয়ারেন্ট তামিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী খালেদ ইবনে এরশাদের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জোরপূর্বক দখলে নেন আলী আহসান মিলন। এ ঘটনায় খালেদ ইবনে এরশাদ গত ১৮ অক্টেবর-২০২১ তারিখে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকার অধীনে একটি সিআর মামলা দায়ের করলে উক্ত মামলায় আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সি আর মামলা নং-০৭/২১।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, খালেদ ইবনে এরশাদ দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে থাকায় আলী আহসান মিলন সুযোগ পেয়ে তার ৪৫৬৪ নং খতিয়ানের ১৫০৫২ নং দাগের জমি দখলে নিয়ে জাল দলিল তৈরি করে অনেক বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন।
মামলার বাদি খালেদ ইবনে এরাশাদ বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই দেশের বাইরে ছিলাম। ২০২০ সালে দেশে এসে আমার জায়গা জমি বুঝে নেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় জানতে পারি আমার জুরাইন কমিশনার রোডের চেয়ারম্যান বাড়ী মোড়ের জমি দখলে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালক আলী আহসান মিলন। তার কাছে জমি দখলের কারণ জানতে চাইলে তিনি ২০০৫ সালে এই জমি কিনে নিয়েছেন বলে দাবি করেন!
খালেদ আরো বলেন, ২০০৪ সালে আমার মা লন্ডনে আমার কাছে ছিলেন এবং সেখানেই তিনি মারা যান। আলী আহসান মিলন যেদিন জমি রেজিস্ট্রেশনের তারিখ দেখিয়েছেন, সেই দিন আমার মা লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। ওই দলিলে আমার মায়ের স্বাক্ষর কিভাবে এলো? এই দলিলটি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও জাল জালিয়াতিমূলক। একারণে আমি আদালতের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করেছি।
উল্লেখ্য, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আহসান মিলনের শ্বশুর আবদুস সালাম খান ছিলেন জুরাইনের সাবেক ৮৯ নং ওয়ার্ড (বর্তমান ৫৩ নং) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ বিষয়ে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হবে মো. মফিজুল আলম বলেন, ওয়ারেন্টের কপি হাতে পেলে আদালতের নির্দেশ তামিল করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আলী আহসান মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।