ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বিচার চাইতে গিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বীর-মুক্তিযোদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে নুরুন্নাহার!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের সর্বোচ্চের এ সতর্কবাণী-বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। তবুও ঘটছে তাই, উপেক্ষিত হচ্ছে তা। আর তাতে সামিল হয়েছে একজন অন্তঃসত্বা নারী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাওনা আদায়ের কথা বলতে গিয়ে নুরুন্নাহার (৩৪) নামের অন্তঃসত্বা ওই নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,শুধু তাই নয়।

নির্যাতনের শিকার হয়ে মামলা করে স্বপরিবারে জীবন ঝুকির আতঙ্কময় অন্ধকারে দিনাতিপাত করছেন বলে ওই ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০২০সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী নুরুন্নাহার (৩৪) সহ ১৩৯জন কর্মীর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। মুগদা হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগকারী রাজা নামের জনৈক নানা অপকর্মের রাজা ও তার সহযোগীরা নুরুন্নাহারকে পাওনাদার চক্রের হোতা বানিয়ে মুগদা হাসপাতালেই নির্মম নির্যাতন করেন।

এতে অন্তঃসত্বা নুরুন্নাহার জীবন ঝুকি পেরিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা করার পর মহাক্ষমতাধর মুগদা হাসপাতালের আউট সোসিং ঠিকাদার রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজা তেলেবেগুনে জলে আরো মারমুখি হয়ে ওঠেন। চালাতে থাকেন নুরুন্নাহারসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তসহ হুমকি-ধমকি। তার লোকজন নুরুন্নাহারকে রাস্তায় পেয়ে হোন্ডার নিচেয় ফেলে পর্যন্ত হত্যার চেস্টায় ব্যার্থ হয়ে গাড়ী চাপা দিয়ে মারা হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে একাধিকবার।

আর এ নিয়ে থানায় জিডি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এতে নুরুন্নাহারের তেমনটি লাভ না হলেও রাজা আরো বেপরোয়া হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতারনা শুদ্ধির অপতৎপরতা। উদ্দেশ্য নুরুন্নাহারকে দাবিয়ে ওই আউট সোসিং কর্মীদের টাকা আত্মোসাৎ করা। এখন নুরুন্নাহারদের পাওনা ওই মোটা অংকের টাকা না দিয়ে বিষয়টি ভিন্নখাতে চালিয়ে পার খুজছেন ওই রাজা।

অন্য দিকে তার চক্রের কাছে ওই আউট সোসিং কর্মী চক্রের হোতা হিসাবে চিহ্নিত নুরুন্নাহার ও তার পরিবারের উপর চালিয়ে চাচ্ছেন নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য উপর্যপুরি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এলাকা ছাড়া করার ও স্বপরিবারে মেরে ফেলার। আর এতে ওই পরিবারটি মারাত্মক অসহয়াত্বের মধ্যে হাবুডু খাচ্ছেন।

মুগদা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেনের মেয়ে।
এবার দেখা যাক কে ওই রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজা?
মুগদার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজা। তার আসল নাম গোলাম কিবরিয়া খান তিনি চিত্রা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স অনলাইন ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মালিক ও বটে। আর এ সুযোগে তিনি মুগদা হাসপাতালের আউট সোসিং-এ কর্মী নিয়োগের কাজটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের নামে।

তবে ওই কর্মীদের বেতন ভাতা আত্মোসাতের পথে বাধা হয়ে দাড়ান নুরুন্নাহার নামের ওই নারী। আর এতেই রাজা নড়েচড়ে বসে নুরুন্নাহারকে থামিয়ে দেয়ার জন্য তাকে সায়েস্তার পথ বেছে নেন। চালান অন্তঃসত্বা নুরুন্নাহারের ওপর অমানবিক নির্যাতন।

একপর্যায়ে তা মামলা পর্যন্ত গড়ালে রাজা আরো বেপরোয়া হয়ে নুরুন্নাহার ও তার পরিবারের জন্য ঝুকি হয়ে দাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিচার চাইতে গিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বীর-মুক্তিযোদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে নুরুন্নাহার!

আপডেট সময় : ০২:১১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের সর্বোচ্চের এ সতর্কবাণী-বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। তবুও ঘটছে তাই, উপেক্ষিত হচ্ছে তা। আর তাতে সামিল হয়েছে একজন অন্তঃসত্বা নারী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাওনা আদায়ের কথা বলতে গিয়ে নুরুন্নাহার (৩৪) নামের অন্তঃসত্বা ওই নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,শুধু তাই নয়।

নির্যাতনের শিকার হয়ে মামলা করে স্বপরিবারে জীবন ঝুকির আতঙ্কময় অন্ধকারে দিনাতিপাত করছেন বলে ওই ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০২০সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী নুরুন্নাহার (৩৪) সহ ১৩৯জন কর্মীর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। মুগদা হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগকারী রাজা নামের জনৈক নানা অপকর্মের রাজা ও তার সহযোগীরা নুরুন্নাহারকে পাওনাদার চক্রের হোতা বানিয়ে মুগদা হাসপাতালেই নির্মম নির্যাতন করেন।

এতে অন্তঃসত্বা নুরুন্নাহার জীবন ঝুকি পেরিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা করার পর মহাক্ষমতাধর মুগদা হাসপাতালের আউট সোসিং ঠিকাদার রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজা তেলেবেগুনে জলে আরো মারমুখি হয়ে ওঠেন। চালাতে থাকেন নুরুন্নাহারসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তসহ হুমকি-ধমকি। তার লোকজন নুরুন্নাহারকে রাস্তায় পেয়ে হোন্ডার নিচেয় ফেলে পর্যন্ত হত্যার চেস্টায় ব্যার্থ হয়ে গাড়ী চাপা দিয়ে মারা হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে একাধিকবার।

আর এ নিয়ে থানায় জিডি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এতে নুরুন্নাহারের তেমনটি লাভ না হলেও রাজা আরো বেপরোয়া হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতারনা শুদ্ধির অপতৎপরতা। উদ্দেশ্য নুরুন্নাহারকে দাবিয়ে ওই আউট সোসিং কর্মীদের টাকা আত্মোসাৎ করা। এখন নুরুন্নাহারদের পাওনা ওই মোটা অংকের টাকা না দিয়ে বিষয়টি ভিন্নখাতে চালিয়ে পার খুজছেন ওই রাজা।

অন্য দিকে তার চক্রের কাছে ওই আউট সোসিং কর্মী চক্রের হোতা হিসাবে চিহ্নিত নুরুন্নাহার ও তার পরিবারের উপর চালিয়ে চাচ্ছেন নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য উপর্যপুরি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এলাকা ছাড়া করার ও স্বপরিবারে মেরে ফেলার। আর এতে ওই পরিবারটি মারাত্মক অসহয়াত্বের মধ্যে হাবুডু খাচ্ছেন।

মুগদা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেনের মেয়ে।
এবার দেখা যাক কে ওই রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজা?
মুগদার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজা। তার আসল নাম গোলাম কিবরিয়া খান তিনি চিত্রা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স অনলাইন ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মালিক ও বটে। আর এ সুযোগে তিনি মুগদা হাসপাতালের আউট সোসিং-এ কর্মী নিয়োগের কাজটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের নামে।

তবে ওই কর্মীদের বেতন ভাতা আত্মোসাতের পথে বাধা হয়ে দাড়ান নুরুন্নাহার নামের ওই নারী। আর এতেই রাজা নড়েচড়ে বসে নুরুন্নাহারকে থামিয়ে দেয়ার জন্য তাকে সায়েস্তার পথ বেছে নেন। চালান অন্তঃসত্বা নুরুন্নাহারের ওপর অমানবিক নির্যাতন।

একপর্যায়ে তা মামলা পর্যন্ত গড়ালে রাজা আরো বেপরোয়া হয়ে নুরুন্নাহার ও তার পরিবারের জন্য ঝুকি হয়ে দাড়িয়েছে।