ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




শয়নশয্যা _চৈতি জান্নাত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

শয়নশয্যা

পৃথিবীর সব শিউলি যেখানে ফোটে
সেইখানটাই আমার শেষ শয়নশয্যা হোক!

বন্ধ চোখে জমুক শিউলি
দেখার তাড়া না থাক, না সরানোর।
আত্মার স্পর্শে স্পর্শে অনুভব হোক স্বর্গ
অমর আত্মার একমাত্র উপাদেয় ফুলই।
মৃত শরীরের পঁচন শুষুক শিউলি ঘ্রাণ!

আজ এবেলায় এইখানে এসে—
নিজেকে খুব বেশি বড়ো মনে হয়, যেন মাথায় ঠেকে আকাশ। যতটা বড়ো হওয়ার পরে পাগলের মতো নেশা জড়িয়ে ধরে ছোটো হওয়ার, সে এক অবাধ্য সাধ!

যতটা বড়োর পরে আর থাকে না ভুল করার সুযোগ, একে একে সব ইচ্ছে শেষ ইচ্ছেয় ঠেকে!

এতো এতো গভীর চেতনায় কবে এতো বড়ো হয়ে উঠলাম? কেন এতো তাড়াতাড়ি মাথায় চাপল সচেতন জ্ঞান পাহাড়?

ক্রমেই ছোটো হতে হতে শেষ হলো—
বায়না বলার জায়গাগুলো!
এখন, কেউ আর আহ্লাদে ডাকে না— আহ্লাদী বলে!

বেছে বেছে পা ফেলার নিষ্ঠুরতম সাবধানেও
পা’য়ে বিঁধে মন্দকাঁটা!
জানাবোঝার পথটাই— সুস্থ মস্তিষ্কের শামুক, উন্মুক্ত তাদের তলোয়ার, পা ফেলে মন দেউলিয়াত্বের নেশায়!

ভাবছি ভালো, করছি পূজা
সাধনার শেষকালে এসে স্তব্ধ হয় মন!

আমার শেষ স্তব্ধতাটুকু মিশুক
অজস্র বকুলের শেষ ঘ্রাণে….!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শয়নশয্যা _চৈতি জান্নাত

আপডেট সময় : ০৬:০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

শয়নশয্যা

পৃথিবীর সব শিউলি যেখানে ফোটে
সেইখানটাই আমার শেষ শয়নশয্যা হোক!

বন্ধ চোখে জমুক শিউলি
দেখার তাড়া না থাক, না সরানোর।
আত্মার স্পর্শে স্পর্শে অনুভব হোক স্বর্গ
অমর আত্মার একমাত্র উপাদেয় ফুলই।
মৃত শরীরের পঁচন শুষুক শিউলি ঘ্রাণ!

আজ এবেলায় এইখানে এসে—
নিজেকে খুব বেশি বড়ো মনে হয়, যেন মাথায় ঠেকে আকাশ। যতটা বড়ো হওয়ার পরে পাগলের মতো নেশা জড়িয়ে ধরে ছোটো হওয়ার, সে এক অবাধ্য সাধ!

যতটা বড়োর পরে আর থাকে না ভুল করার সুযোগ, একে একে সব ইচ্ছে শেষ ইচ্ছেয় ঠেকে!

এতো এতো গভীর চেতনায় কবে এতো বড়ো হয়ে উঠলাম? কেন এতো তাড়াতাড়ি মাথায় চাপল সচেতন জ্ঞান পাহাড়?

ক্রমেই ছোটো হতে হতে শেষ হলো—
বায়না বলার জায়গাগুলো!
এখন, কেউ আর আহ্লাদে ডাকে না— আহ্লাদী বলে!

বেছে বেছে পা ফেলার নিষ্ঠুরতম সাবধানেও
পা’য়ে বিঁধে মন্দকাঁটা!
জানাবোঝার পথটাই— সুস্থ মস্তিষ্কের শামুক, উন্মুক্ত তাদের তলোয়ার, পা ফেলে মন দেউলিয়াত্বের নেশায়!

ভাবছি ভালো, করছি পূজা
সাধনার শেষকালে এসে স্তব্ধ হয় মন!

আমার শেষ স্তব্ধতাটুকু মিশুক
অজস্র বকুলের শেষ ঘ্রাণে….!