ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার! Logo ইউজিসির গবেষণা প্রকল্প পেলেন কুবির দুই শিক্ষক Logo রাজউকের নথি গায়েবের মূল হোতা নাসির উদ্দীন স্ট্যান্ড রিলিজ Logo বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য Logo শাবিপ্রবিতে দায়িত্বপালনকালে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য আহত Logo জিয়া শিশু কিশোর মেলার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা




ভোটকেন্দ্রে না যেতে মাইকিং

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯ ৮১ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে মাইকিং করেছে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা। শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিংয়ের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে রাত ১১টার দিকে তিন যুবককে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- উপজেলা সদরের বাসিন্দা হুজাইফা, পলাশ ও রাসেল। পরে রাতেই তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শাজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা লিজা।

আটক ওই তিন যুবক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, নয়মাইল এলাকায় নৌকার প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে আব্দুল হালিম ও শামিম নামে দুইজন আওয়ামী লীগ কর্মী সিএনজিচালিত টেম্পুতে করে তাদেরকে মাইকিং করতে পাঠিয়ে দেয়।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নৌকার প্রার্থী সোহরাব হোসেন ছান্নুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, তার নির্বাচনী ইমেজ নষ্ট করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, আটক তিন যুবক শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে আগামী ১৮ মার্চ তারিখে বিএনপির ভোটাররা যাতে ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে না যান সে জন্য মাইকিং করছিলেন। মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন এবং তাদেরকে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর আটকদের কাছ থেকে মাইকিং কাজে ব্যবহৃত মেমোরি কার্ড জব্দ এবং তাদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

উপজেলা সদরের এই ঘটনা ছাড়াও শনিবার রাতে একযোগে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর, টেংগামাগুরসহ কয়েকটি এলাকায় ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের ভোটারদের না যেতে মাইকিং করা হয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিশ্চিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভোটকেন্দ্রে না যেতে মাইকিং

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে মাইকিং করেছে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা। শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিংয়ের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে রাত ১১টার দিকে তিন যুবককে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- উপজেলা সদরের বাসিন্দা হুজাইফা, পলাশ ও রাসেল। পরে রাতেই তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শাজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা লিজা।

আটক ওই তিন যুবক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, নয়মাইল এলাকায় নৌকার প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে আব্দুল হালিম ও শামিম নামে দুইজন আওয়ামী লীগ কর্মী সিএনজিচালিত টেম্পুতে করে তাদেরকে মাইকিং করতে পাঠিয়ে দেয়।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নৌকার প্রার্থী সোহরাব হোসেন ছান্নুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, তার নির্বাচনী ইমেজ নষ্ট করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, আটক তিন যুবক শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে আগামী ১৮ মার্চ তারিখে বিএনপির ভোটাররা যাতে ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে না যান সে জন্য মাইকিং করছিলেন। মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন এবং তাদেরকে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর আটকদের কাছ থেকে মাইকিং কাজে ব্যবহৃত মেমোরি কার্ড জব্দ এবং তাদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

উপজেলা সদরের এই ঘটনা ছাড়াও শনিবার রাতে একযোগে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর, টেংগামাগুরসহ কয়েকটি এলাকায় ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের ভোটারদের না যেতে মাইকিং করা হয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিশ্চিত করেছেন।