সিনোফার্মের আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১ ২০১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চীনের সিনোফার্মের আরো ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এজন্য ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ডোজ টিকা।
আজ বুধবার দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, আমরা সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনেটেড করতে হবে। তার জন্য ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ভ্যাকসিন কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২ কোটি ৫৫ লাখ আমাদের হাতে আছে। বাকিটা সংগ্রহ করতে হবে। আজকে আমরা ৬ কোটি ডোজ কেনার জন্য অনুমোদন দিলাম। বাকিটা আমরা পর্যায়ক্রমে অনব।
ভ্যাকসিনের দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বলব না। আগের নির্ধারতি যে দাম আছে তার চেয়ে বাড়েনি।
সবমিলে যে ২৭ কোটি ডোজ টিকা লাগবে তার জন্য সরকারের কতে টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রাইসটি আমাদের কাছে নাই, কারণ বাকিগুলো এখনো নেগোসিয়েশন চলছে। প্রাইস ফাইনালাইজড হলে আমরা বলতে পারব। প্রাইস এখনো ফাইনালাইজড হয়নি, সে জন্য আমরা বলতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে নন ডিসক্লোজার একটি এগ্রিমেন্ট আছে। সেজন্য দামটি প্রকাশ করা যাবে না। তবে আমরা আশা করি ৬০ মিলিয়ন সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পাবো। আশা করা যাচ্ছে আগামী নভেম্বরের মধ্যে আমরা এই ভ্যাকসিন পাবো।
জানা গেছে, আজকের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) চুক্তিপত্রে উল্লিখিত একক মূল্যে কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর আগে সরকার চীনের কাছ থেকে সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করে। তার মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে।
এর বাইরে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় দেশে আরও ১৭ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন এসেছে। চীন থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে আরও ১১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
এছাড়া বৈঠকে করোনার দ্রুত পরীক্ষার জন্য পিসিআর টেস্ট কিট, এন্টিজেন টেস্ট কিট, বায়োপ্যাপ মেশিনসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয় কমিটি।