ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




ভ্যাকসিন নিয়ে ‘গুজব’ ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে ভারত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হলেও এতে খুব একটা সাড়া নেই জনগণের মধ্যে। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতেই পাওয়া যাচ্ছে এ সংক্রান্ত খবর। ভ্যাকসিনগুলোতে আস্থা নেই বা এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান অনেক ভারতীয়ই। তাছাড়া ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া নিয়েও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এর মধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ভুল তথ্য বা গুজব ছড়ালে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভারতের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে ভারত। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের। দ্বিতীয় ধাপে পাবেন ৫০ বছর বয়সোর্ধ্বরা। সেই সময় ভ্যাকসিন নিতে চেয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও।

দেশটির ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘কোভ্যাক্সিন’। কোভিশিল্ড নিয়ে খুব একটা কথা না হলেও বিতর্কের মুখে পড়েছে ভারতীয়দের নিজস্ব উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি। কারণ, এর তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালই এখনও শেষ হয়নি, নেই সুরক্ষা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যও।

সমালোচকদের মতে, ট্রায়াল শেষের আগেই কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়ে কার্যত বিপদ ডেকে আনছে মোদি সরকার।

এছাড়া ভ্যাকসিন নেয়ার পর গত দু’সপ্তাহে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু এবং কয়েকশ’ জনের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও, এসব মৃত্যুর সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামেনি।

এবার সেসব ঠেকাতেই রাজ্যগুলোকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত সপ্তাহে অজয় ভাল্লার পাঠানো এক চিঠিতে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই ভারতে মহামারি আইন কার্যকর রয়েছে। সেই আইন অনুসারে, যেকোনো ধরনের গুজব, রটনা বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এই আইনের পাশাপাশি প্রয়োজনে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভ্যাকসিন নিয়ে ‘গুজব’ ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে ভারত

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হলেও এতে খুব একটা সাড়া নেই জনগণের মধ্যে। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতেই পাওয়া যাচ্ছে এ সংক্রান্ত খবর। ভ্যাকসিনগুলোতে আস্থা নেই বা এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান অনেক ভারতীয়ই। তাছাড়া ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া নিয়েও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এর মধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ভুল তথ্য বা গুজব ছড়ালে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভারতের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে ভারত। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের। দ্বিতীয় ধাপে পাবেন ৫০ বছর বয়সোর্ধ্বরা। সেই সময় ভ্যাকসিন নিতে চেয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও।

দেশটির ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘কোভ্যাক্সিন’। কোভিশিল্ড নিয়ে খুব একটা কথা না হলেও বিতর্কের মুখে পড়েছে ভারতীয়দের নিজস্ব উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি। কারণ, এর তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালই এখনও শেষ হয়নি, নেই সুরক্ষা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যও।

সমালোচকদের মতে, ট্রায়াল শেষের আগেই কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়ে কার্যত বিপদ ডেকে আনছে মোদি সরকার।

এছাড়া ভ্যাকসিন নেয়ার পর গত দু’সপ্তাহে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু এবং কয়েকশ’ জনের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও, এসব মৃত্যুর সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামেনি।

এবার সেসব ঠেকাতেই রাজ্যগুলোকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত সপ্তাহে অজয় ভাল্লার পাঠানো এক চিঠিতে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই ভারতে মহামারি আইন কার্যকর রয়েছে। সেই আইন অনুসারে, যেকোনো ধরনের গুজব, রটনা বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এই আইনের পাশাপাশি প্রয়োজনে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিন