ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা দিলে জেল-জরিমানা, আইন পাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লাইসেন্স এবং অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত করলে জেল-জরিমানা, কৃষির সমৃদ্ধি ও উচ্চ ফলনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘টপ সয়েল’ রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিধান রেখে সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ)(সংশোধন) বিল-২০১৯টি মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে জাতীয় পার্টির এমপিরা কয়েকটি সংশোধনী দেন। কিন্তু তা গৃহীত না হয়েই কণ্ঠভোটে বিলটি সংসদে পাস হয়। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী, মো. মুজিবুল হক ও বেগম রওশন আরা বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং কয়েকটি বিধান বিলুপ্তি করা হয়েছে। বিলে লাইসেন্স ও অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধের বিধান করা হয়েছে। তবে ব্লক প্রস্তুতের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না।

বিলে ইটভাটার ক্ষেত্রে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে কোনো ইটভাটায় ছিদ্রযুক্ত ইট প্রস্তুতের নির্দেশনা জারির বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ইটভাটা স্থাপনে বিধি-নিষেধ জারির বিধান করা হয়েছে।

বিলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সময় সময় জারি করা রফতানি নীতি অনুসরণ ছাড়া ইট রফতানি করা যাবে না বলে বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিলে লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে উল্লিখিত বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধের জন্য কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা দিলে জেল-জরিমানা, আইন পাস

আপডেট সময় : ০৭:৩০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লাইসেন্স এবং অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত করলে জেল-জরিমানা, কৃষির সমৃদ্ধি ও উচ্চ ফলনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘টপ সয়েল’ রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিধান রেখে সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ)(সংশোধন) বিল-২০১৯টি মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে জাতীয় পার্টির এমপিরা কয়েকটি সংশোধনী দেন। কিন্তু তা গৃহীত না হয়েই কণ্ঠভোটে বিলটি সংসদে পাস হয়। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী, মো. মুজিবুল হক ও বেগম রওশন আরা বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং কয়েকটি বিধান বিলুপ্তি করা হয়েছে। বিলে লাইসেন্স ও অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধের বিধান করা হয়েছে। তবে ব্লক প্রস্তুতের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না।

বিলে ইটভাটার ক্ষেত্রে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে কোনো ইটভাটায় ছিদ্রযুক্ত ইট প্রস্তুতের নির্দেশনা জারির বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ইটভাটা স্থাপনে বিধি-নিষেধ জারির বিধান করা হয়েছে।

বিলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সময় সময় জারি করা রফতানি নীতি অনুসরণ ছাড়া ইট রফতানি করা যাবে না বলে বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিলে লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে উল্লিখিত বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধের জন্য কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।