নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লাইসেন্স এবং অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত করলে জেল-জরিমানা, কৃষির সমৃদ্ধি ও উচ্চ ফলনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘টপ সয়েল’ রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিধান রেখে সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ)(সংশোধন) বিল-২০১৯টি মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে জাতীয় পার্টির এমপিরা কয়েকটি সংশোধনী দেন। কিন্তু তা গৃহীত না হয়েই কণ্ঠভোটে বিলটি সংসদে পাস হয়। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী, মো. মুজিবুল হক ও বেগম রওশন আরা বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং কয়েকটি বিধান বিলুপ্তি করা হয়েছে। বিলে লাইসেন্স ও অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধের বিধান করা হয়েছে। তবে ব্লক প্রস্তুতের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না।
বিলে ইটভাটার ক্ষেত্রে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে কোনো ইটভাটায় ছিদ্রযুক্ত ইট প্রস্তুতের নির্দেশনা জারির বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ইটভাটা স্থাপনে বিধি-নিষেধ জারির বিধান করা হয়েছে।
বিলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিদ্যমান আইনের কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সময় সময় জারি করা রফতানি নীতি অনুসরণ ছাড়া ইট রফতানি করা যাবে না বলে বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিলে লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে উল্লিখিত বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধের জন্য কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।