ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




স্মৃতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র পাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রফিকুল ইসলামঃ  বাবা, একটা কাব্য, একটা উপন্যাস লেখা শেষ হবে। আর কাব্য, উপন্যাসগুলো পড়েও শেষ করা যাবে। কিন্তু তোমায় নিয়ে পড়া, লেখা সবই অফুরন্ত। আজো প্রতি মুহূর্ত তোমাকে অনেক মিস করি। মনে হয় সারাটা জীবন যদি তোমার সাথে থাকতে পারতাম। তুমি আমার কাছে কোন কাব্য, উপন্যাস বা মহাকাব্য নয়। তবে কাব্য, মহাকাব্য, উপন্যাসের থেকে কম কিছু নয়। তুমি আমার উপন্যাসের মহাবীর। আমার কাব্যের বিজয়ী। আমার চোখে দেখা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। যার মধ্যে ছিল প্রবল আত্মবিশ্বাস। যিনি ছিলেন সততার প্রতীক। রাত যখন গভীর হয়, চারিদিক নীরব হয়ে যায়, রাত যখন শেষ হয় না। সেই রাএিটা আমি তোমার কথা ভেবে কাটিয়ে দেই। আবার কখনো তোমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি। এই জীবনে সবাই জানে আমি একা। আমি এতিম। কিন্ত, কেউ জানে না…. যে আমি আজও দেয়ালে ঝুলানো তোমার আর মার ছবি সাথে কথা বলি। আমি জানি এটা একমুখী যোগাযোগ। তবে আমার বিশ্বাস তুমি আমার কথা শোন।যেখানেই থাকো তুমি ভালো থাকো। তোমার মেয়ে তোমায় আজো অনেক ভালবাসে। ইতি, তোমার অভাগা সন্তান। এমনি ভাবে চোখের জ্বলে স্মৃতিচারণ করছিলেন সত্যবাবু স্যারের বড় মেয়ে মালবিকা পাল | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ প্রতিদিনকার মত সারা দিন স্কুলের কর্ম ঘন্টা শেষে সবাই বাড়ি ফিরল। মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে প্রায় ৫১ বছর বয়সে গৌরীপুর পৌর শহরের সরকারপাড়া নিজ বাসায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন আমাদের সবার প্রিয় “সত্য স্যার”। শিক্ষক সমাজে সত্য বাবু, ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সত্য স্যার।

সত্যেন্দ্র চন্দ্র পাল জম্ম নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মহিষশুরা গ্রামে ।

শাহগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৫ সালে গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ২০১০ সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ২০১১ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ড. এম. আর করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে, ৮ ফেব্রুয়ারি/২০১৭ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান । বড় মেয়ে গৌরীপুর সরকারি কলেজে অর্নাস তৃতীয় বর্ষে ছেলে সুদীপ্ত পাল নূরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে । ১৭ জানুযারী/১৯ ভবিষ্যত প্রজম্মদের একা করে স্ত্রী সুতপা রানী পালও প্রিয় স্যারের পথে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। যিনি মৃত্যূর পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত স্কূল, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সমাজের জন্য উৎসর্গিত ব্যক্তিত্ব ।

স্যারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের প্রতি দোয়া ও ভালবাসা রইল । সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে, শেষ সম্ভল দাদীমা কুসুম রানী পালের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হউ । বাধা বিপত্তি ও অভিভাবকহীন সমাজ কাকে বলে সেটা তোমরা মোকাবেলা করছ । তোমাদের বাবা যে দায়িত্ব পালন করে গেছে আমরা পারিনি সেই দায়িত্ববোধের সম্মান দিতে। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কত সংগঠন!!! কিন্ত পারিনি আমরা স্যারের প্রতি সম্মান জানাতে । পরিশেষে স্যার ও স্যারের প্রিয়তমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

স্মরণে-
রতন চন্দ্র সরকার, মো. সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান, শিক্ষক,
শাহগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও ড. এম. আর করিম উচ্চ বিদ্যালয় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




স্মৃতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র পাল

আপডেট সময় : ০১:২১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মোঃ রফিকুল ইসলামঃ  বাবা, একটা কাব্য, একটা উপন্যাস লেখা শেষ হবে। আর কাব্য, উপন্যাসগুলো পড়েও শেষ করা যাবে। কিন্তু তোমায় নিয়ে পড়া, লেখা সবই অফুরন্ত। আজো প্রতি মুহূর্ত তোমাকে অনেক মিস করি। মনে হয় সারাটা জীবন যদি তোমার সাথে থাকতে পারতাম। তুমি আমার কাছে কোন কাব্য, উপন্যাস বা মহাকাব্য নয়। তবে কাব্য, মহাকাব্য, উপন্যাসের থেকে কম কিছু নয়। তুমি আমার উপন্যাসের মহাবীর। আমার কাব্যের বিজয়ী। আমার চোখে দেখা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। যার মধ্যে ছিল প্রবল আত্মবিশ্বাস। যিনি ছিলেন সততার প্রতীক। রাত যখন গভীর হয়, চারিদিক নীরব হয়ে যায়, রাত যখন শেষ হয় না। সেই রাএিটা আমি তোমার কথা ভেবে কাটিয়ে দেই। আবার কখনো তোমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি। এই জীবনে সবাই জানে আমি একা। আমি এতিম। কিন্ত, কেউ জানে না…. যে আমি আজও দেয়ালে ঝুলানো তোমার আর মার ছবি সাথে কথা বলি। আমি জানি এটা একমুখী যোগাযোগ। তবে আমার বিশ্বাস তুমি আমার কথা শোন।যেখানেই থাকো তুমি ভালো থাকো। তোমার মেয়ে তোমায় আজো অনেক ভালবাসে। ইতি, তোমার অভাগা সন্তান। এমনি ভাবে চোখের জ্বলে স্মৃতিচারণ করছিলেন সত্যবাবু স্যারের বড় মেয়ে মালবিকা পাল | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ প্রতিদিনকার মত সারা দিন স্কুলের কর্ম ঘন্টা শেষে সবাই বাড়ি ফিরল। মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে প্রায় ৫১ বছর বয়সে গৌরীপুর পৌর শহরের সরকারপাড়া নিজ বাসায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন আমাদের সবার প্রিয় “সত্য স্যার”। শিক্ষক সমাজে সত্য বাবু, ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সত্য স্যার।

সত্যেন্দ্র চন্দ্র পাল জম্ম নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মহিষশুরা গ্রামে ।

শাহগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৫ সালে গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ২০১০ সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ২০১১ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ড. এম. আর করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে, ৮ ফেব্রুয়ারি/২০১৭ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান । বড় মেয়ে গৌরীপুর সরকারি কলেজে অর্নাস তৃতীয় বর্ষে ছেলে সুদীপ্ত পাল নূরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে । ১৭ জানুযারী/১৯ ভবিষ্যত প্রজম্মদের একা করে স্ত্রী সুতপা রানী পালও প্রিয় স্যারের পথে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। যিনি মৃত্যূর পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত স্কূল, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সমাজের জন্য উৎসর্গিত ব্যক্তিত্ব ।

স্যারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের প্রতি দোয়া ও ভালবাসা রইল । সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে, শেষ সম্ভল দাদীমা কুসুম রানী পালের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হউ । বাধা বিপত্তি ও অভিভাবকহীন সমাজ কাকে বলে সেটা তোমরা মোকাবেলা করছ । তোমাদের বাবা যে দায়িত্ব পালন করে গেছে আমরা পারিনি সেই দায়িত্ববোধের সম্মান দিতে। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কত সংগঠন!!! কিন্ত পারিনি আমরা স্যারের প্রতি সম্মান জানাতে । পরিশেষে স্যার ও স্যারের প্রিয়তমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

স্মরণে-
রতন চন্দ্র সরকার, মো. সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান, শিক্ষক,
শাহগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও ড. এম. আর করিম উচ্চ বিদ্যালয় ।