ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




উত্তর কোরিয়ার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য ফাঁস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০ ১১২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

উত্তর কোরিয়ার বিধিবহির্ভূত আটক ও তদন্ত ব্যবস্থায় যথাযথ কোনো প্রক্রিয়ার আবাস নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আজ সোমবার প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ফাঁস করা হয়।

‘ওয়র্থ লেস দেন আন অ্যানিম্যাল: অ্যাবইউজেস অ্যান্ড ডিও প্রসেস ভায়োলেশন্স ইন প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন ইন নর্থ কোরিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত ৮৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দেশটির অস্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থার একটি অনন্য এবং বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল আইনি ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অধীনে আদালত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক প্রকৃতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রি-ট্রায়াল আটক এবং তদন্ত ব্যবস্থা হিংস্র, নিষ্ঠুর এবং বিধিবহির্ভূত। উত্তর কোরিয়ানরা বলেছেন, তারা যেকোনো সময়, যে কোনো ব্যবস্থায় ধরা পড়ার ভয়ে নিয়ে বাস করেন। সেখানের অফিসিয়াল পদ্ধতিগুলো সাধারণত অপ্রাসঙ্গিক। আর ধরা পড়লে ছাড়া পাওয়ার উপায় হলো ঘুষ দেওয়া বা কোনো মাধ্যমে সংযোগস্থাপন করে বের হয়ে আসা।

দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া আট প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা ও ২২ জন কোরিয়ান নাগরিকের সাক্ষৎকার নিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ । এর মধ্যে ১৫ জন নারী এবং ৭ জন পুরুষকে আটকে রেখা হয়েছিল দেশটির আটকখানায়। দেশটির বর্তমান নেতা কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পরে থেকে তাদের আটক রাখা হয় বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

প্রাক্তন আটককৃতরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, যদি একবার গ্রেপ্তার হন তাহলে তাদের কী হবে তা জানার উপায় ছিল না। স্বাধীন আইনজীবীর নেওয়ার উপায় ছিল না। নির্যাতন বা ফৌজদারি কার্যবিধির আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে আবেদন করার কোনো অধিকার নেই সে দেশে। কোনো ব্যক্তি যখন সরকারি তদন্তের মুখোমুখি হন তখন স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদি অবৈতনিক বাধ্যগতভাবে কাজ এড়ানোর সম্ভাবনা খুব কমই থাকে। ধর্ষণসহ যৌন নির্যতানের মুখোমুখি হন অনেক আটক নারীও।

তারা বলছেন, তাদের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হতো, কখনো হাঁটুগেড়ে রাখা হতো, কখনো চোখ ঠেসে থাকতে হতো মেঝেতে। কখনো কখনো ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা এভাবে কেটে যেত। যদি কোনো বন্দি এই সময়ে নড়াচড়া করতেন তাহলে সবাইকে নতুন করে শাস্তি দেয়া হতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উত্তর কোরিয়ার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য ফাঁস

আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

উত্তর কোরিয়ার বিধিবহির্ভূত আটক ও তদন্ত ব্যবস্থায় যথাযথ কোনো প্রক্রিয়ার আবাস নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আজ সোমবার প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ফাঁস করা হয়।

‘ওয়র্থ লেস দেন আন অ্যানিম্যাল: অ্যাবইউজেস অ্যান্ড ডিও প্রসেস ভায়োলেশন্স ইন প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন ইন নর্থ কোরিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত ৮৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দেশটির অস্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থার একটি অনন্য এবং বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল আইনি ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অধীনে আদালত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক প্রকৃতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রি-ট্রায়াল আটক এবং তদন্ত ব্যবস্থা হিংস্র, নিষ্ঠুর এবং বিধিবহির্ভূত। উত্তর কোরিয়ানরা বলেছেন, তারা যেকোনো সময়, যে কোনো ব্যবস্থায় ধরা পড়ার ভয়ে নিয়ে বাস করেন। সেখানের অফিসিয়াল পদ্ধতিগুলো সাধারণত অপ্রাসঙ্গিক। আর ধরা পড়লে ছাড়া পাওয়ার উপায় হলো ঘুষ দেওয়া বা কোনো মাধ্যমে সংযোগস্থাপন করে বের হয়ে আসা।

দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া আট প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা ও ২২ জন কোরিয়ান নাগরিকের সাক্ষৎকার নিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ । এর মধ্যে ১৫ জন নারী এবং ৭ জন পুরুষকে আটকে রেখা হয়েছিল দেশটির আটকখানায়। দেশটির বর্তমান নেতা কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পরে থেকে তাদের আটক রাখা হয় বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

প্রাক্তন আটককৃতরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, যদি একবার গ্রেপ্তার হন তাহলে তাদের কী হবে তা জানার উপায় ছিল না। স্বাধীন আইনজীবীর নেওয়ার উপায় ছিল না। নির্যাতন বা ফৌজদারি কার্যবিধির আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে আবেদন করার কোনো অধিকার নেই সে দেশে। কোনো ব্যক্তি যখন সরকারি তদন্তের মুখোমুখি হন তখন স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদি অবৈতনিক বাধ্যগতভাবে কাজ এড়ানোর সম্ভাবনা খুব কমই থাকে। ধর্ষণসহ যৌন নির্যতানের মুখোমুখি হন অনেক আটক নারীও।

তারা বলছেন, তাদের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হতো, কখনো হাঁটুগেড়ে রাখা হতো, কখনো চোখ ঠেসে থাকতে হতো মেঝেতে। কখনো কখনো ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা এভাবে কেটে যেত। যদি কোনো বন্দি এই সময়ে নড়াচড়া করতেন তাহলে সবাইকে নতুন করে শাস্তি দেয়া হতো।