ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ




ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার ব্যবসায়ী মো. আবদুল ওয়াহেদ। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগর পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত আট পুলিশ সদস্য হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম, এসআই মো. নুর নবী, এএসআই অমিত ভট্টাচার্য, এএসআই মো. শরিফুল ইসলাম, এসআই গোলাম মো. নাছিম হোসেন, এএসআই মো. আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান, কনস্টেবল ফৌজুল করিম ও পুলিশ সোর্স ডোনার রুবেল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ জুলাই বায়েজিদ বোস্তামীর জামাল কলোনি এলাকা থেকে বিনা কারণে বাদীকে থানায় নিয়ে মারধর করা হয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মাদক আইনে বাদী ও আরও কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। মামলা হালকা করতেও পুলিশ সদস্যরা টাকা দাবি করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াহেদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় এবং পরে মাদক মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানি করায় দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৩৯৫, ১৬১, ২৯৮, ৪২০, ১০৯, ৫০৬ (২) ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামসহ আট পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনারকে (উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১১:০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার ব্যবসায়ী মো. আবদুল ওয়াহেদ। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগর পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত আট পুলিশ সদস্য হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম, এসআই মো. নুর নবী, এএসআই অমিত ভট্টাচার্য, এএসআই মো. শরিফুল ইসলাম, এসআই গোলাম মো. নাছিম হোসেন, এএসআই মো. আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান, কনস্টেবল ফৌজুল করিম ও পুলিশ সোর্স ডোনার রুবেল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ জুলাই বায়েজিদ বোস্তামীর জামাল কলোনি এলাকা থেকে বিনা কারণে বাদীকে থানায় নিয়ে মারধর করা হয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মাদক আইনে বাদী ও আরও কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। মামলা হালকা করতেও পুলিশ সদস্যরা টাকা দাবি করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াহেদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় এবং পরে মাদক মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানি করায় দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৩৯৫, ১৬১, ২৯৮, ৪২০, ১০৯, ৫০৬ (২) ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামসহ আট পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনারকে (উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দেন।