ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

সমঝোতা বৈঠক নাকচ করে ভারত সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করল চীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চীন। সমঝোতা বৈঠকের পর পিছু না হটে বরং সীমান্তে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন বাড়িয়েছে চীন। জবাবে তাড়াহুড়ো করে ভারতও সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। এই সময় জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তে ফের সেনা মোতায়েন করেছে চীন। জবাবে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এলএসি বরাবর সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে ভারতও।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ‘শুধু লাদাখ নয়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে চীন। সেনা ছাড়াও যুদ্ধ সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ সূত্রটি জানায়, মঙ্গলবার থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করলেও, ফের দ্রুত এলএসি বরাবর এলাকাগুলোতে সেনা মোতায়েন করেছে ভারতও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, হিমাচল প্রদেশে চীন-ভারত সীমান্তের যে অংশে এর আগে চীনা হেলিকপ্টার দেখা গিয়েছিল, সেখানেও বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে অভিযোগ করেছেন, চীনারা লাদাখে ঢুকে ভারতের জমি দখল করে নিলেও প্রধানমন্ত্রী মোদি বিষয়টি নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না। জবাবে বিজেপি বলছে, দেশের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ জড়িত আছে, এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে টুইটারে অন্তত প্রশ্নই তোলা যায় না। পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, লাদাখ সীমান্তের সংঘাত শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে গড়াবে না- এ ধারণা থেকেই সম্ভবত ভারত বিষয়টি নিয়ে আপাতত মুখ খুলতে চাইছে না। ভারতের সুপরিচিত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুক্লা বুধবার প্রকাশিত তার এক নিবন্ধে দাবি করেন, লাদাখের সীমান্ত সংঘাতে চীন এবার অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়েছে। তারা শুধু প্যাংগং লেকের একটা বড় অংশই দখল করে রাখেনি, পুরো গালওয়ান ভ্যালিটাই কব্জা করে রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সমঝোতা বৈঠক নাকচ করে ভারত সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করল চীন

আপডেট সময় : ০১:১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চীন। সমঝোতা বৈঠকের পর পিছু না হটে বরং সীমান্তে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন বাড়িয়েছে চীন। জবাবে তাড়াহুড়ো করে ভারতও সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। এই সময় জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তে ফের সেনা মোতায়েন করেছে চীন। জবাবে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এলএসি বরাবর সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে ভারতও।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ‘শুধু লাদাখ নয়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে চীন। সেনা ছাড়াও যুদ্ধ সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ সূত্রটি জানায়, মঙ্গলবার থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করলেও, ফের দ্রুত এলএসি বরাবর এলাকাগুলোতে সেনা মোতায়েন করেছে ভারতও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, হিমাচল প্রদেশে চীন-ভারত সীমান্তের যে অংশে এর আগে চীনা হেলিকপ্টার দেখা গিয়েছিল, সেখানেও বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে অভিযোগ করেছেন, চীনারা লাদাখে ঢুকে ভারতের জমি দখল করে নিলেও প্রধানমন্ত্রী মোদি বিষয়টি নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না। জবাবে বিজেপি বলছে, দেশের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ জড়িত আছে, এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে টুইটারে অন্তত প্রশ্নই তোলা যায় না। পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, লাদাখ সীমান্তের সংঘাত শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে গড়াবে না- এ ধারণা থেকেই সম্ভবত ভারত বিষয়টি নিয়ে আপাতত মুখ খুলতে চাইছে না। ভারতের সুপরিচিত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুক্লা বুধবার প্রকাশিত তার এক নিবন্ধে দাবি করেন, লাদাখের সীমান্ত সংঘাতে চীন এবার অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়েছে। তারা শুধু প্যাংগং লেকের একটা বড় অংশই দখল করে রাখেনি, পুরো গালওয়ান ভ্যালিটাই কব্জা করে রেখেছে।