ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




স্বামীর হাতে কলেজ পড়ুয়া স্ত্রী খুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর প্রতিনিধি;

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন তানজিলা আক্তার রিতু নামে এক গৃহবধূ। এই ঘটনায় নিহতের মা সহ আরো দুইজন মারাত্মক আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘাতককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। নিহত গৃহবধূ এবারে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগরের বাড়ি থেকে স্বামী আল মামুন মোহন (২৮) শ্বশুর বাড়িতে যান। ইফতারের পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী তানজিলা আক্তার রিতুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত স্বামী মোহন স্ত্রী রিতুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। ঘটনা দেখে শ্বাশুড়ি পারভিন আক্তার এবং শালক প্রান্ত এগিয়ে আসেন। এ সময় ক্ষিপ্ত মোহন তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হলে তাদের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রিতু মারা যান।

এদিকে আহত শ্বাশুড়ি পারভিন আক্তার (৪০) ও শ্যালক প্রান্তকে (১৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পরপর এলাকাবাসী ঘাতক জামাতা মোহনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার পর ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা উপ-পরিদর্শক কাজী জাকারিয়া নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে আল মামুন মানিক গত তিনবছর আগে পাশের উপজেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার সেলিম খানের মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে মোহন সৌদি আরব চলে যান। সেখানে দেড় বছর বেকার থেকে গত কয়েক মাস আগে দেশে ফিরেন। নিহত রিতুর বাবা সেলিম খান নিজেও সৌদি আরব থাকেন। সেখানে তিনি এখন করোনায় আক্রান্ত।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব জানান, মূলত স্বামী এবং স্ত্রী পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখতো। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে ছিল। সে কারণে বুধবার রাতে কথা কাটাকাটির জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




স্বামীর হাতে কলেজ পড়ুয়া স্ত্রী খুন

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

চাঁদপুর প্রতিনিধি;

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন তানজিলা আক্তার রিতু নামে এক গৃহবধূ। এই ঘটনায় নিহতের মা সহ আরো দুইজন মারাত্মক আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘাতককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। নিহত গৃহবধূ এবারে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগরের বাড়ি থেকে স্বামী আল মামুন মোহন (২৮) শ্বশুর বাড়িতে যান। ইফতারের পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী তানজিলা আক্তার রিতুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত স্বামী মোহন স্ত্রী রিতুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। ঘটনা দেখে শ্বাশুড়ি পারভিন আক্তার এবং শালক প্রান্ত এগিয়ে আসেন। এ সময় ক্ষিপ্ত মোহন তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হলে তাদের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রিতু মারা যান।

এদিকে আহত শ্বাশুড়ি পারভিন আক্তার (৪০) ও শ্যালক প্রান্তকে (১৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পরপর এলাকাবাসী ঘাতক জামাতা মোহনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার পর ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা উপ-পরিদর্শক কাজী জাকারিয়া নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে আল মামুন মানিক গত তিনবছর আগে পাশের উপজেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার সেলিম খানের মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে মোহন সৌদি আরব চলে যান। সেখানে দেড় বছর বেকার থেকে গত কয়েক মাস আগে দেশে ফিরেন। নিহত রিতুর বাবা সেলিম খান নিজেও সৌদি আরব থাকেন। সেখানে তিনি এখন করোনায় আক্রান্ত।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব জানান, মূলত স্বামী এবং স্ত্রী পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখতো। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে ছিল। সে কারণে বুধবার রাতে কথা কাটাকাটির জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটে।