ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




নদী সংরক্ষণ প্রকল্পের সিসি ব্লক লুটে নিলেন যুবলীগ নেতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধি, ধুনট, বগুড়া; 

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে সিসি ব্লক লুট করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার তিনি প্রকল্প এলাকা থেকে ট্রাকে করে সিসি ব্লকগুলো নিয়ে যান।

ওই যুবলীগ নেতার নাম সোহেল রানা মিঠু। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য। যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকার কাছেই তাঁর বাড়ি।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের কাছে যমুনা নদীর ভাঙনরোধে ২০১৬ সালে ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পাথর, সিমেন্ট ও বালুর মিশ্রণ দিয়ে সিসি ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর ভাঙনরোধের জন্য যমুনার তীর স্লোপ করে মাটিতে জিও চট বিছিয়ে তার ওপর ওই সিসি ব্লকগুলো বসানো হয়েছে। এরপর থেকে যমুনা নদীতে আর কোনো ভাঙন দেখা যায়নি। এখন প্রকল্প এলাকায় নদীর পানি কমে ওই সিসি ব্লকগুলো নদীর তীরে পড়ে আছে। এ অবস্থায় সকালের দিকে যুবলীগের নেতা সোহেল রানা ওই প্রকল্প এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০০-৩০০টি সিসি ব্লক তুলে ট্রাকে করে নিয়ে গেছেন। পরে তিনি ওই সিসি ব্লক দিয়ে তাঁর বালু পরিবহনের জন্য ট্রাক চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করছেন। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় লোকজন পাউবোর বগুড়া কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল বারিক বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করেছে। এতে এলাকাবাসী যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সেখান থেকে সিসি ব্লক তুলে নেওয়ায় প্রকল্পের ক্ষতি হচ্ছে। এতে নদীভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে যুবলীগের নেতা সোহেল রানা বলেন, নদীর তীরে সিসি ব্লকগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখান থেকে কিছু সিসি ব্লক তুলে নিয়ে রাস্তা মেরামতকাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের কোনো ক্ষতি হবে না। স্থানীয় লোকজন শত্রুতা করে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিগগিরই সিসি ব্লক লুট করে নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নদী সংরক্ষণ প্রকল্পের সিসি ব্লক লুটে নিলেন যুবলীগ নেতা

আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

প্রতিনিধি, ধুনট, বগুড়া; 

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে সিসি ব্লক লুট করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার তিনি প্রকল্প এলাকা থেকে ট্রাকে করে সিসি ব্লকগুলো নিয়ে যান।

ওই যুবলীগ নেতার নাম সোহেল রানা মিঠু। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য। যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকার কাছেই তাঁর বাড়ি।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের কাছে যমুনা নদীর ভাঙনরোধে ২০১৬ সালে ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পাথর, সিমেন্ট ও বালুর মিশ্রণ দিয়ে সিসি ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর ভাঙনরোধের জন্য যমুনার তীর স্লোপ করে মাটিতে জিও চট বিছিয়ে তার ওপর ওই সিসি ব্লকগুলো বসানো হয়েছে। এরপর থেকে যমুনা নদীতে আর কোনো ভাঙন দেখা যায়নি। এখন প্রকল্প এলাকায় নদীর পানি কমে ওই সিসি ব্লকগুলো নদীর তীরে পড়ে আছে। এ অবস্থায় সকালের দিকে যুবলীগের নেতা সোহেল রানা ওই প্রকল্প এলাকা থেকে কমপক্ষে ২০০-৩০০টি সিসি ব্লক তুলে ট্রাকে করে নিয়ে গেছেন। পরে তিনি ওই সিসি ব্লক দিয়ে তাঁর বালু পরিবহনের জন্য ট্রাক চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করছেন। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় লোকজন পাউবোর বগুড়া কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল বারিক বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করেছে। এতে এলাকাবাসী যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সেখান থেকে সিসি ব্লক তুলে নেওয়ায় প্রকল্পের ক্ষতি হচ্ছে। এতে নদীভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে যুবলীগের নেতা সোহেল রানা বলেন, নদীর তীরে সিসি ব্লকগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখান থেকে কিছু সিসি ব্লক তুলে নিয়ে রাস্তা মেরামতকাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের কোনো ক্ষতি হবে না। স্থানীয় লোকজন শত্রুতা করে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিগগিরই সিসি ব্লক লুট করে নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।