সাংবাদিক ও তার অভিভাবক_ নিয়াজ মো.
- আপডেট সময় : ১১:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১২৭ বার পড়া হয়েছে
শুরু করি সংবাদ ও সাংবাদিকতা দিয়ে। পৃথিবীতে প্রতিদিনই লাখো কোটি ঘটনা ঘটে যায়। কয়টি ঘটনা পত্র- পত্রিকা, টেলিভিশনে আসে ? যে কয়টি খবর আসে, সেগুলোই সংবাদ। এবং এসব সংবাদ পাঠক, দর্শক, স্রোতা পর্যন্ত যারা নিরপেক্ষভাবে পৌছে দেয় তারাই সাংবাদিক বলে মানুষ জানে।
সাংবাদিকতার বিভিন্ন রূপ ও শ্রেণী আছে। দুনিয়ার সব সাংবাদিক যে একই নিয়ম অনুসরণ করবে তা তো নয়। তবে সাংবাদিকদের কিছু বৈশিষ্ট্য ও আচরণ সকল আদর্শ সাংবাদিকের ক্ষেত্রে একই হয়। যেমন, কাজের ধরণ, সাংবাদিকতার আদর্শ এসব।
২. দেশের বিভাগীয় একটি শহর বরিশাল। এখানে আটত্রিশটির মত আঞ্চলিক প্রিন্ট পত্রিকা ও বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল, জাতীয় দৈনিক এর জেলা ও বিভাগীয় প্রতিনিধিসহ অনেক সাংবাদিকের কর্মক্ষেত্র এই শহর। ঐতিহ্যবাহী এ শহরে লেখক, সাংবাদিক, কবি, আবৃত্তি শিল্পী সহ অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তি রয়েছেন।
আবার কূটকৌশলী সাংবাদিকের লেবাসধারীও রয়েছে এখানে। বরিশালের মানুষ যদিও এদের ইতিমধ্যে বয়কট করেছে। তবুও জেনে রাখা ভাল।
৩. এই শহর থেকেই শিখেছি হাসিমুখে একজন সাংবাদিককে তার সহকর্মীরা কিভাবে অন্যায়ভাবে বিপদে ফেলে দেয়। এখানেই দেখেছি, একজন সাংবাদিক প্রকাশ্যে সরকার দলীয় একজন রাজনৈতিক নেতাকে নিজের অভিভাবক বলে দাবি করে প্রচার করে। আবার আমার এই শহর থেকেই অভিজ্ঞতা নিয়েছি সাংবাদিকতার নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে মানুষ কিভাবে ‘গুজব’কে বৈধতা দেয়।
শিখেছি ভোটের ফলাফলের আগেই লাখ টাকার বিনিময়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়ে যায় ‘অমুক নেতা হয়েছেন সিংহাসন অধিকারী ‘। দেখেছি করোনা যুদ্ধে সহযোদ্ধা না হয়ে ‘ত্রাণ দিতে গিয়ে ছাত্র নেতার ধর্ষণের খবর ‘ নামের গুজবকেও সংবাদ বলে চালিয়ে দেয়া।
বরিশালের এমন সাংবাদিকদের যদিও মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। এবং প্রমাণিত হয়েছে এরা একটি স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলেন। এবং এখনও সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এরা একের পর এক গুজবকে কথিত সংবাদে রূপ দেযার চেষ্টা করছে । যদিও সেই পরিকল্পনা বারবার ভেস্তে যাচ্ছে ওই লেবাসধারীদের।
লেখক- নিয়াজ মো. (বরিশাল ব্যুরো -জাতীয় দৈনিক নতুন কাগজ)