ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




করোনায় মৃত্যুর মিছিলে প্রায় ২ লাখ মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 
বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই এই রোগ বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও এতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৭ হাজার মানুষ। ফলে বিশ্বে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হতে চলেছে মোট ২ লাখ মানুষ।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কালো থাবায় মারা গেছে ৬ হাজার ৬১৮ জন। ফলে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজারে ৪২০ জন। এদের মধ্যে শুক্রবার সকালেই মারা গেছে আরও ৫০১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের আরও ৮৫ হাজার ৪৩৪ জন। এ নিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪ জন।

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৭২ জন মানুষ। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও প্রায় ১৮ লাখের তমো মানুষ, ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৮৪২ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার (৫৮ হাজার ৬৮৯ জন) মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছে ৫০ হাজার মানুষ

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার সকালে মারা গেছে আরও সাতজন। ফলে সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ২৪২ জন।

এদের মধ্যে দেশটিতে বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত আরও ২ হাজার ৩৪২ জন মানুষ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩১ হাজার ৯০০ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪২য়ে। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৯২২ জন। অর্থাৎ দেশটিতে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার অনেক কম।

এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষ। অর্থাৎ ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮৪ জন। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

করোনা মহামারি মোকাবেলায় ৪শ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মার্কিন কংগ্রেস।

স্পেনে একদিনে আক্রান্ত ৪ হাজারের বেশি

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে স্পেনের মানুষ। বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৪ হাজারের বেশি মানুষ, ৪ হাজার ৬৩৫ জন। অর্থাৎ ওইদিন তারা আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪ জন।

তবে স্পেনে করোনায় মৃত্যুর হার বেশ কমেছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে মারা গেছে আরও ৪৪০ জন। ফলে সেখানে এ মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ১৫৭ জনে।

দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন মোট ৮৯ হাজার ২৫০ জন। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ১ লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৭০৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

অন্যান্য দেশের করোনা পরিস্থিতি

যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এ পন্ত মারা গেছে ২৫ হাজার ৫৪৯ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৩ জন।

ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৩ জন এবং মারা গেছে ২১ হাজার ৮৫৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন। আক্রান্তের তুলনায় দেশটিতে মৃত্যু অনেক কম, মাত্র ৫ হাজার ৫৭৫ জন।

যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৭৩৮ জনের।

তুরস্কে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৭৯০ জন এবং দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৪৯১ জন। ইরানে আক্রান্ত ৮৭ হাজার ২৬ জন এবং মৃত্যু ৫ হাজার ৪৮১ জন।

করোনার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিচিত চীনে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৮২ হাজার ৮০৪ জন। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩২ জন।

এছাড়া রাশিয়াতে আক্রান্ত ৬২ হাজার ৭৭৩ জন ও মৃত্যু ৫৫৫; ব্রাজিলে আক্রান্ত ৫০ হাজার ৩৬ জন, মৃত্যু ৩ হাজার ৩৩১ জন; বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৪২ হাজার ১১০ জন ও মৃত্যু ৬ হাজার ৪৯০; কানাডায় আক্রান্ত ৩৮ হাজার ৪২২ জন ও মৃত্যু ১ হাজার ৮৩৪; নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৪২ হাজার ১১০ জন ও মৃত্যু ২ হাজার ১৪৭ জন।

বাংলাদেশেও শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৯ জন এবং মারা গেছে মোট ১৩১ জন।

সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনায় মৃত্যুর মিছিলে প্রায় ২ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০৫:০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ 
বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই এই রোগ বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও এতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৭ হাজার মানুষ। ফলে বিশ্বে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হতে চলেছে মোট ২ লাখ মানুষ।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কালো থাবায় মারা গেছে ৬ হাজার ৬১৮ জন। ফলে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজারে ৪২০ জন। এদের মধ্যে শুক্রবার সকালেই মারা গেছে আরও ৫০১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের আরও ৮৫ হাজার ৪৩৪ জন। এ নিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪ জন।

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৭২ জন মানুষ। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও প্রায় ১৮ লাখের তমো মানুষ, ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৮৪২ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার (৫৮ হাজার ৬৮৯ জন) মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছে ৫০ হাজার মানুষ

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার সকালে মারা গেছে আরও সাতজন। ফলে সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ২৪২ জন।

এদের মধ্যে দেশটিতে বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত আরও ২ হাজার ৩৪২ জন মানুষ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩১ হাজার ৯০০ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪২য়ে। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৯২২ জন। অর্থাৎ দেশটিতে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার অনেক কম।

এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষ। অর্থাৎ ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮৪ জন। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

করোনা মহামারি মোকাবেলায় ৪শ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মার্কিন কংগ্রেস।

স্পেনে একদিনে আক্রান্ত ৪ হাজারের বেশি

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে স্পেনের মানুষ। বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৪ হাজারের বেশি মানুষ, ৪ হাজার ৬৩৫ জন। অর্থাৎ ওইদিন তারা আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪ জন।

তবে স্পেনে করোনায় মৃত্যুর হার বেশ কমেছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে মারা গেছে আরও ৪৪০ জন। ফলে সেখানে এ মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ১৫৭ জনে।

দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন মোট ৮৯ হাজার ২৫০ জন। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ১ লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৭০৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

অন্যান্য দেশের করোনা পরিস্থিতি

যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এ পন্ত মারা গেছে ২৫ হাজার ৫৪৯ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৩ জন।

ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৩ জন এবং মারা গেছে ২১ হাজার ৮৫৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন। আক্রান্তের তুলনায় দেশটিতে মৃত্যু অনেক কম, মাত্র ৫ হাজার ৫৭৫ জন।

যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৭৩৮ জনের।

তুরস্কে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৭৯০ জন এবং দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৪৯১ জন। ইরানে আক্রান্ত ৮৭ হাজার ২৬ জন এবং মৃত্যু ৫ হাজার ৪৮১ জন।

করোনার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিচিত চীনে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৮২ হাজার ৮০৪ জন। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩২ জন।

এছাড়া রাশিয়াতে আক্রান্ত ৬২ হাজার ৭৭৩ জন ও মৃত্যু ৫৫৫; ব্রাজিলে আক্রান্ত ৫০ হাজার ৩৬ জন, মৃত্যু ৩ হাজার ৩৩১ জন; বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৪২ হাজার ১১০ জন ও মৃত্যু ৬ হাজার ৪৯০; কানাডায় আক্রান্ত ৩৮ হাজার ৪২২ জন ও মৃত্যু ১ হাজার ৮৩৪; নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৪২ হাজার ১১০ জন ও মৃত্যু ২ হাজার ১৪৭ জন।

বাংলাদেশেও শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৯ জন এবং মারা গেছে মোট ১৩১ জন।

সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার