ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন Logo রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলার নিহত ৬০, দায় স্বীকার আইএসের




পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লো বরিশালের বহুল আলোচিত সেই লিটু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশালের বহুল আলোচিত সেই হিরু উদ্দিন লিটু আবার স্বরূপে ফিরে এসেছে। তবে সুস্থ্য নয়, মানুষিক বিকারগ্রস্থ হয়ে একের পর এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গুলি করে জখমের পর এবার পুলিশকেও ছাড় দেয়নি। তার সদর রোডের বাস ভবনে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা এক যুবককে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে লঙ্কাকান্ডের জন্ম দেয়।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় লিটু জানলা দিয়ে পুলিশকে খিস্তিখেউর করে সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ার এয়ারগ্যানের গুলি ছোড়ে। কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এক পর্যায় পুলিশ কৌশলে ওই যুবককে উদ্ধার করলেও লিটুকে আটক করা সম্ভাব হয়নি। লিটু তিন তলায় অবস্থান নিলে ছাদ থেকে লাফ দিতে পারে এমন সম্ভাবনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

এলাকাবাসী জানায়, পাওনা দুই হাজার টাকা আদায়ের জন্য হিরা নামক এক যুবককে গত বুধবার দুপুরে তালাশ শুরু করে। আগরপুর রোডের বাসিন্দা এই যুবককে বিকেলে হাতেন নাগালে পেলে তাকে পেটাতে পেটাতে তার বাসায় নিয়ে যায়। টাউন হল সম্মুখে তিন তলা বিশিষ্ট বাস ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাকে আটকে রাখে। হিরার পরিবারের অভিযোগ রাত ১০টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা অবস্থায় ওই যুবককে কয়েক দফা শারীরিক নির্যাতন করে। চিৎকার চেচামেচিতে এলাকাবাসী জড়ো হয়েও কেউ বাড়ির আশপাশে যেতে সাহস নেয়নি। এক পর্যায় থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসলেও ওই প্রবেশ করা দুরহ হয়ে পরে। পরে দুর থেকে লিটুর সাথে কথা বলে নিচের গেট খুলে দিলে হিরাকে দ্বিতলা থেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। বেসামাল লিটু আটক আতঙ্কে তিন তলায় অবস্থান নিয়ে গেট আটকে দেয়। বহু চেষ্টা ও কৌশল প্রয়োগ করেও তাকে নিচে নামানো যায়নি। এক পর্যায় উল্টো পুলিশকে সরিয়ে দিতে লিটু জানালা দিয়ে তার কাছে থাকা এয়ারগ্যান তাক করে কয়েক ১রাউন্ড গুলি ছুড়ে। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নেশায় আসক্ত হয়ে মানুষিক বিকারগ্রস্থ লিটু ছাদ থেকে লাফ দিতে পারে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ চলে আসতে বাধ্য হয়।

একটি সূত্র জানায়, মাদক ক্রয়ের জন্য পাশ্ববর্তী বাসিন্দা হিরার কাছে টাকা দিলে তা নিয়ে তালবাহানা করায় তাকে অবরুদ্ধ তা আদায়ের চেষ্টা করে। এর আগে গত ১০ এপ্রিল একদিনে মাদকের জন্য আগরপুর সড়কের পুন্না নামক এক চায়ের দোকানীকে কুপিয়ে জখম করে। বিকেলের ঘটনার ঘন্টা দুয়েক আগে পাশ্ববর্তী সাকিব নামক এক যুবককে নিজ বাস ভবনের ছাদ থেকে এয়ারগ্যান দিয়ে গুলি ছোড়ে। এতে সাবিকসহ তার এক বন্ধু আহত হয়। তবে অতটা গুরুতর ছিলো না। মাদক আসক্ত হয়ে উদভাট আচারণে লিটুর বিষয়টি নিয়ে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। তাছাড়া আহত ব্যক্তিরা আক্রোশের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় থানা পুলিশের দারস্থ হয়নি বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিলেন এই লিটু।
৯০ দশকে সদর রোডের ত্রাস হিসেবে উত্থান লিটু বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হলেও তখনকার প্রেক্ষপট ছিল ভিন্ন। তার বড় ভাই প্রয়াত জাপা নেতা কবির উদ্দিন হান্নু এবং অপর ভাই মন্টি গোটা সদর রোড নিয়ন্ত্রণ করায় তিন ভাইয়ের পরিচিয় ছিলো ভয়ানক সন্ত্রাসী হিসেবে।

এই সময়কালে সদর রোডের পলি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ও জোনাকি এক্স ক্লিনিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় আপরাধ জগতে লিটু আলোচনায় আসনে। বছর দশক পূর্বে স্বাভাবিক জীবনে থাকা কবির উদ্দিন হান্নু আকস্মিক মৃত্যুবরণ করলে ছোট ভাই মন্টি নিজেকে সংবরণ করতে সক্ষম হলেও লিটু নেশায় আসক্ত হয়ে ক্রমন্বয় মানুষিক ভারসাম্যহীনতা হারিয়ে ফেলে। হয়ে পরে ঘরবন্দি। তার স্ত্রী বরিশাল যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা কেকা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত মুখ।

তার পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই সন্তানের জনক লিটুর কারণে বছর চারেক পূর্বে এই নেত্রী নিজ পিতৃলয় ঝালকাঠিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। বতর্মানে তিনি ঝালকাঠি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
কেকা এই প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন, লিটু নেশায় আসক্ত হয়ে পরায় বহুচেষ্টা করেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ঝালকাঠি-বরিশাল আসা যাওয়ার মাঝে লিটুর জন্ম দেয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় তিনিও বিব্রত। পুলিশের সহয়তা চেয়েছেন তাকে আটক করে সেফকাস্টরিতে রাখার জন্য।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নূরুল ইসলাম পিপিএম জানান, লিটুর বিরুদ্ধে কেউ মামলা দায়ের না করায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। লিটুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না হওয়ার নেপথ্যে প্রতিটি ঘটনাই মাদক সংশ্লিষ্টতার কাহিনী রয়েছে। তবে গতকাল গুলিবর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক অস্থিরতা তৈরির প্রেক্ষাপটে তাকে আটকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেকোন সময় লিটু আটক হতে পারে, এমনটি ইঙ্গিত দিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লো বরিশালের বহুল আলোচিত সেই লিটু!

আপডেট সময় : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

বরিশালের বহুল আলোচিত সেই হিরু উদ্দিন লিটু আবার স্বরূপে ফিরে এসেছে। তবে সুস্থ্য নয়, মানুষিক বিকারগ্রস্থ হয়ে একের পর এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গুলি করে জখমের পর এবার পুলিশকেও ছাড় দেয়নি। তার সদর রোডের বাস ভবনে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা এক যুবককে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে লঙ্কাকান্ডের জন্ম দেয়।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় লিটু জানলা দিয়ে পুলিশকে খিস্তিখেউর করে সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ার এয়ারগ্যানের গুলি ছোড়ে। কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এক পর্যায় পুলিশ কৌশলে ওই যুবককে উদ্ধার করলেও লিটুকে আটক করা সম্ভাব হয়নি। লিটু তিন তলায় অবস্থান নিলে ছাদ থেকে লাফ দিতে পারে এমন সম্ভাবনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

এলাকাবাসী জানায়, পাওনা দুই হাজার টাকা আদায়ের জন্য হিরা নামক এক যুবককে গত বুধবার দুপুরে তালাশ শুরু করে। আগরপুর রোডের বাসিন্দা এই যুবককে বিকেলে হাতেন নাগালে পেলে তাকে পেটাতে পেটাতে তার বাসায় নিয়ে যায়। টাউন হল সম্মুখে তিন তলা বিশিষ্ট বাস ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাকে আটকে রাখে। হিরার পরিবারের অভিযোগ রাত ১০টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা অবস্থায় ওই যুবককে কয়েক দফা শারীরিক নির্যাতন করে। চিৎকার চেচামেচিতে এলাকাবাসী জড়ো হয়েও কেউ বাড়ির আশপাশে যেতে সাহস নেয়নি। এক পর্যায় থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসলেও ওই প্রবেশ করা দুরহ হয়ে পরে। পরে দুর থেকে লিটুর সাথে কথা বলে নিচের গেট খুলে দিলে হিরাকে দ্বিতলা থেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। বেসামাল লিটু আটক আতঙ্কে তিন তলায় অবস্থান নিয়ে গেট আটকে দেয়। বহু চেষ্টা ও কৌশল প্রয়োগ করেও তাকে নিচে নামানো যায়নি। এক পর্যায় উল্টো পুলিশকে সরিয়ে দিতে লিটু জানালা দিয়ে তার কাছে থাকা এয়ারগ্যান তাক করে কয়েক ১রাউন্ড গুলি ছুড়ে। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নেশায় আসক্ত হয়ে মানুষিক বিকারগ্রস্থ লিটু ছাদ থেকে লাফ দিতে পারে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ চলে আসতে বাধ্য হয়।

একটি সূত্র জানায়, মাদক ক্রয়ের জন্য পাশ্ববর্তী বাসিন্দা হিরার কাছে টাকা দিলে তা নিয়ে তালবাহানা করায় তাকে অবরুদ্ধ তা আদায়ের চেষ্টা করে। এর আগে গত ১০ এপ্রিল একদিনে মাদকের জন্য আগরপুর সড়কের পুন্না নামক এক চায়ের দোকানীকে কুপিয়ে জখম করে। বিকেলের ঘটনার ঘন্টা দুয়েক আগে পাশ্ববর্তী সাকিব নামক এক যুবককে নিজ বাস ভবনের ছাদ থেকে এয়ারগ্যান দিয়ে গুলি ছোড়ে। এতে সাবিকসহ তার এক বন্ধু আহত হয়। তবে অতটা গুরুতর ছিলো না। মাদক আসক্ত হয়ে উদভাট আচারণে লিটুর বিষয়টি নিয়ে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। তাছাড়া আহত ব্যক্তিরা আক্রোশের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় থানা পুলিশের দারস্থ হয়নি বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিলেন এই লিটু।
৯০ দশকে সদর রোডের ত্রাস হিসেবে উত্থান লিটু বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হলেও তখনকার প্রেক্ষপট ছিল ভিন্ন। তার বড় ভাই প্রয়াত জাপা নেতা কবির উদ্দিন হান্নু এবং অপর ভাই মন্টি গোটা সদর রোড নিয়ন্ত্রণ করায় তিন ভাইয়ের পরিচিয় ছিলো ভয়ানক সন্ত্রাসী হিসেবে।

এই সময়কালে সদর রোডের পলি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ও জোনাকি এক্স ক্লিনিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় আপরাধ জগতে লিটু আলোচনায় আসনে। বছর দশক পূর্বে স্বাভাবিক জীবনে থাকা কবির উদ্দিন হান্নু আকস্মিক মৃত্যুবরণ করলে ছোট ভাই মন্টি নিজেকে সংবরণ করতে সক্ষম হলেও লিটু নেশায় আসক্ত হয়ে ক্রমন্বয় মানুষিক ভারসাম্যহীনতা হারিয়ে ফেলে। হয়ে পরে ঘরবন্দি। তার স্ত্রী বরিশাল যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা কেকা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত মুখ।

তার পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই সন্তানের জনক লিটুর কারণে বছর চারেক পূর্বে এই নেত্রী নিজ পিতৃলয় ঝালকাঠিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। বতর্মানে তিনি ঝালকাঠি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
কেকা এই প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন, লিটু নেশায় আসক্ত হয়ে পরায় বহুচেষ্টা করেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ঝালকাঠি-বরিশাল আসা যাওয়ার মাঝে লিটুর জন্ম দেয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় তিনিও বিব্রত। পুলিশের সহয়তা চেয়েছেন তাকে আটক করে সেফকাস্টরিতে রাখার জন্য।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নূরুল ইসলাম পিপিএম জানান, লিটুর বিরুদ্ধে কেউ মামলা দায়ের না করায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। লিটুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না হওয়ার নেপথ্যে প্রতিটি ঘটনাই মাদক সংশ্লিষ্টতার কাহিনী রয়েছে। তবে গতকাল গুলিবর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক অস্থিরতা তৈরির প্রেক্ষাপটে তাকে আটকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেকোন সময় লিটু আটক হতে পারে, এমনটি ইঙ্গিত দিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।