পুলিশ-চিকিৎসকসহ ছয় করোনা রোগী শনাক্ত, শেরপুর হাসপাতালের কার্যক্রম স্থগিত
- আপডেট সময় : ১০:৪৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার, শেরপুর |
শেরপুরে দুই চিকিৎসক, পুলিশের এক ওসি, হাসপাতালের দুই কর্মচারীসহ ছয়জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন ১৫ জন।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা হাসপাতাল ও নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জীবাণুমুক্ত না করা পর্যন্ত সাময়িক লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তের বাড়ি ও সংস্পর্শে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং তাদের বাড়ির আশপাশের ৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আনওয়ারুর রউফ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. মোবারক হোসেন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন।
শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আনওয়ারুর রউফ জানান, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অর্ধশতাধিক ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাওয়া পরীক্ষা প্রতিবেদনে এ ছয়জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ নিশ্চিত হওয়া যায়।
তিনি জানান, জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই মেডিকেল কর্মকর্তা, ঝিনাইগাতী থানার ওসি, সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক, সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহায়ক ও নারায়ণগঞ্জফেরত এক পোশাককর্মী নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়া ছয়জনকে রাতেই আইসোলেশন ইউনিটে আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পিপিই থাকলেও করোনা সনাক্তের কীট স্বল্পতা রয়েছে শেরপুরে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, ঝিনাইগাতী থানার ওসির যেহেতু করোনা শনাক্ত হয়েছে সেহেতু তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর ওসির সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে ঝিনাইগাতী থানার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।