ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ৭ মিনিটেই নারীর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি; 
ডায়বেটিস ও হাঁপানি প্রকোপ এবং ‘করোনার উপসর্গ’ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির ৭ মিনিটের মাথায় মারা গেছেন মোমেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। তিনি রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নুরুল হকের স্ত্রী।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মোমেনা বেগমকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার হাঁপানির প্রকোপ বেড়ে শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র ৮০ শতাংশ। প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিল ডায়বেটিসও। জরুরি বিভাগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি দেয়া হয়। সেখানে নেয়া মিনিট সাতেকের ভেতর তিনি মারা যান।

পরিবারের বরাত দিয়ে আরএমও আরও বলেন, অসুস্থ মোমেনা প্রথমে গ্রাম্য এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। এরপরও কোনো কূল না পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারীর কাছে যান। তিনি সদও হাসপাতালে পাঠান।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানান, মারা যাওয়া রোগীর হার্ট, ডায়বেটিস ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। তার ডায়বেটিসের মাত্রা ছিল ৫০০ মিলিগ্রাম। তবুও করোনাময় সময়ে যেহেতু মারা গেছেন তাই করোনা টেস্টেও জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মহি উদ্দিন জানান, ভর্তিও ৭ মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়া নারী মোমেনার নিয়মিত সমস্যা গুলোর মাঝে করোনার লক্ষণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনার উপসর্গ বহন করছিলেন কি না।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে ঢাকাস্থ রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্টান (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে। গত পহেলা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে। এরপর প্রথম ৬ দিনে ২৪ জন, ৭ এপ্রিল ২৫, ৮ এপ্রিল ২৪ জন, ৯ এপ্রিল ২৭ জন, ১০ এপ্রিল ৩৭ জন, ১১ এপ্রিল ৯ জন, ১২ এপ্রিল ৩২ জন, ১৩ এপ্রিল ২৪ জন, ১৪ এপ্রিল ৩১ জন, ১৫ এপ্রিল ১৭ জন ও ১৬ এপ্রিল ৪১ জন এবং শুক্রবার ৩৯ জন সন্দেহভাজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে এই ল্যাবে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা হওয়া রোগী সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ৭ মিনিটেই নারীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:২৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

জেলা প্রতিনিধি; 
ডায়বেটিস ও হাঁপানি প্রকোপ এবং ‘করোনার উপসর্গ’ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির ৭ মিনিটের মাথায় মারা গেছেন মোমেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। তিনি রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নুরুল হকের স্ত্রী।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মোমেনা বেগমকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার হাঁপানির প্রকোপ বেড়ে শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র ৮০ শতাংশ। প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিল ডায়বেটিসও। জরুরি বিভাগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি দেয়া হয়। সেখানে নেয়া মিনিট সাতেকের ভেতর তিনি মারা যান।

পরিবারের বরাত দিয়ে আরএমও আরও বলেন, অসুস্থ মোমেনা প্রথমে গ্রাম্য এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। এরপরও কোনো কূল না পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারীর কাছে যান। তিনি সদও হাসপাতালে পাঠান।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানান, মারা যাওয়া রোগীর হার্ট, ডায়বেটিস ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। তার ডায়বেটিসের মাত্রা ছিল ৫০০ মিলিগ্রাম। তবুও করোনাময় সময়ে যেহেতু মারা গেছেন তাই করোনা টেস্টেও জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মহি উদ্দিন জানান, ভর্তিও ৭ মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়া নারী মোমেনার নিয়মিত সমস্যা গুলোর মাঝে করোনার লক্ষণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনার উপসর্গ বহন করছিলেন কি না।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে ঢাকাস্থ রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্টান (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে। গত পহেলা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে। এরপর প্রথম ৬ দিনে ২৪ জন, ৭ এপ্রিল ২৫, ৮ এপ্রিল ২৪ জন, ৯ এপ্রিল ২৭ জন, ১০ এপ্রিল ৩৭ জন, ১১ এপ্রিল ৯ জন, ১২ এপ্রিল ৩২ জন, ১৩ এপ্রিল ২৪ জন, ১৪ এপ্রিল ৩১ জন, ১৫ এপ্রিল ১৭ জন ও ১৬ এপ্রিল ৪১ জন এবং শুক্রবার ৩৯ জন সন্দেহভাজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে এই ল্যাবে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা হওয়া রোগী সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন।