ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক 




বনে ফেলে যাওয়া সেই নারীর করোনা শনাক্ত হয়নি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
টাঙ্গাইলের সখীপুরে করোনাভাইরাস সন্দেহে বনের ভেতর ফেলে যাওয়া নারী মাজেদা বেগম (৫০) করোনায় আক্রান্ত নন। আইইডিসিআরের প্রাথমিক পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম। তবে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামের এক জঙ্গলে ঐ নারী কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সখিপুর উপজেলা কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা আইডিসিআর এ করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে সন্দেহে তাকে তার স্বামী ও সন্তানেরা সখিপুর জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যান। তার বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতা বাড়িতে। স্বামী-সন্তান গাজীপুরের সালনায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পরে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা ওই মহিলাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম বলেন, ওই নারীর শরীরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথা ছিল। মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১৫ এপ্রিল) পরীক্ষা শেষে তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. মুক্তাদির ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানান, ওই নারীর করোনা রিপোর্ট নেভেটিভ এসেছে তবে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হতে দুই তিন দিনের মধ্যে পুনরায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ওই নারীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো লক্ষণ নেই। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তার শারীরিক সমস্যা খুব একটা গুরুতর মনে হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বনে ফেলে যাওয়া সেই নারীর করোনা শনাক্ত হয়নি

আপডেট সময় : ১১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 
টাঙ্গাইলের সখীপুরে করোনাভাইরাস সন্দেহে বনের ভেতর ফেলে যাওয়া নারী মাজেদা বেগম (৫০) করোনায় আক্রান্ত নন। আইইডিসিআরের প্রাথমিক পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম। তবে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামের এক জঙ্গলে ঐ নারী কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সখিপুর উপজেলা কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা আইডিসিআর এ করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে সন্দেহে তাকে তার স্বামী ও সন্তানেরা সখিপুর জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যান। তার বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতা বাড়িতে। স্বামী-সন্তান গাজীপুরের সালনায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পরে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা ওই মহিলাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম বলেন, ওই নারীর শরীরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথা ছিল। মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১৫ এপ্রিল) পরীক্ষা শেষে তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. মুক্তাদির ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানান, ওই নারীর করোনা রিপোর্ট নেভেটিভ এসেছে তবে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হতে দুই তিন দিনের মধ্যে পুনরায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ওই নারীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো লক্ষণ নেই। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তার শারীরিক সমস্যা খুব একটা গুরুতর মনে হচ্ছে না।