ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




এবার করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির সুসংবাদ দিলেন মার্কিন গবেষকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

Scientist working with blood sample in laboratory

অনলাইন ডেস্ক;

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ‘কাযকরী’ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর এবার এই ভাইরাসটির ওষুধ বা বড়ি তৈরির সুসংবাদ দিলেন মার্কিন গবেষকরা।

তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে, মুখে খাওয়ার এমন ওষুধ বা বড়ি নিয়ে পরীক্ষাগারে সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা।

এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক নতুন এ ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেছে।

এই বড়ি টেস্টটিউবে মানুষের ফুসফুসের কোষের প্রতিলিপিতে করোনাভাইরাস বিস্তারে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ইঁদুরের ওপরও এ ওষুধ নিয়ে তারা গবেষণা করে দেখেছেন যে, ইঁদুরের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করোনাভাইরাসকে পুনরুৎপাদনে বেশ কিছু দিন বাধা দেয়ার এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার প্রমাণ মিলেছে। ওষুধটিকে গবেষকরা বলছেন, ‘ইআইডিডি-২৮০১’। এটি মূলত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উচ্চ সংখ্যায় পুনরুত্পাদন এবং সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে।

গবেষকরা বলছেন, তাদের তৈরি ওষুধটি এখনও মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে এর প্রভাব যদি মানুষের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর ক্ষেত্রে এটিই হবে প্রথম বড়ি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখে খাওয়ার ওষুধ বা বড়ি হিসেবে করোনার ওষুধ পেলে তা আশীর্বাদ হবে। কারণ শিরায় ইনজেকশন দেয়ার চেয়ে বেশি লোককে ওষুধ দেয়া সহজ হবে।

ইতিমধ্যে রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ওই ওষুধের লাইসেন্স নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওষুধ পরীক্ষার জন্য অনুমতিও দিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ১০ রোগীকে ভাইরাস প্রতিরোধী ওই ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করছেন।

নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস। তাদের দাবি, ইঁদুরের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। চিকিৎসাবিষয়ক বিখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে পিটসবার্গের স্কুল অব মেডিসিনে এ গবেষণা প্রকাশ হয়।

ভ্যাকসিনটি রোগের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে দ্রুত কার্যকর হতে পারে বলে গবেষকরা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন। নতুন এই ভ্যাকসিনের তারা নাম দিয়েছেন ‘পিটকোভ্যাক’। যার পূর্ণরূপ পিটসবার্গ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মানুষের শরীরে তারা ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির সুসংবাদ দিলেন মার্কিন গবেষকরা

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ‘কাযকরী’ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর এবার এই ভাইরাসটির ওষুধ বা বড়ি তৈরির সুসংবাদ দিলেন মার্কিন গবেষকরা।

তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে, মুখে খাওয়ার এমন ওষুধ বা বড়ি নিয়ে পরীক্ষাগারে সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা।

এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক নতুন এ ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেছে।

এই বড়ি টেস্টটিউবে মানুষের ফুসফুসের কোষের প্রতিলিপিতে করোনাভাইরাস বিস্তারে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ইঁদুরের ওপরও এ ওষুধ নিয়ে তারা গবেষণা করে দেখেছেন যে, ইঁদুরের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করোনাভাইরাসকে পুনরুৎপাদনে বেশ কিছু দিন বাধা দেয়ার এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার প্রমাণ মিলেছে। ওষুধটিকে গবেষকরা বলছেন, ‘ইআইডিডি-২৮০১’। এটি মূলত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উচ্চ সংখ্যায় পুনরুত্পাদন এবং সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে।

গবেষকরা বলছেন, তাদের তৈরি ওষুধটি এখনও মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে এর প্রভাব যদি মানুষের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর ক্ষেত্রে এটিই হবে প্রথম বড়ি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখে খাওয়ার ওষুধ বা বড়ি হিসেবে করোনার ওষুধ পেলে তা আশীর্বাদ হবে। কারণ শিরায় ইনজেকশন দেয়ার চেয়ে বেশি লোককে ওষুধ দেয়া সহজ হবে।

ইতিমধ্যে রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ওই ওষুধের লাইসেন্স নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওষুধ পরীক্ষার জন্য অনুমতিও দিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ১০ রোগীকে ভাইরাস প্রতিরোধী ওই ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করছেন।

নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস। তাদের দাবি, ইঁদুরের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। চিকিৎসাবিষয়ক বিখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে পিটসবার্গের স্কুল অব মেডিসিনে এ গবেষণা প্রকাশ হয়।

ভ্যাকসিনটি রোগের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে দ্রুত কার্যকর হতে পারে বলে গবেষকরা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন। নতুন এই ভ্যাকসিনের তারা নাম দিয়েছেন ‘পিটকোভ্যাক’। যার পূর্ণরূপ পিটসবার্গ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মানুষের শরীরে তারা ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারবেন।