১৬ হাজার টাকার বিশ্বকাপ টিকিট বিক্রি ১৩ লক্ষ টাকায়!
- আপডেট সময় : ১০:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১৫১ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নিয়মানুযায়ী বিশ্বকাপ কিংবা অন্যান্য বৈশ্বিক আসরের টিকিট পুনরায় বিক্রি কিংবা ‘ব্ল্যাকে বিক্রি’ করা অবৈধ। কিন্তু ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ নিয়মে যে কেউ চাইলেই একবার টিকিট কিনে সেটিকে নিজের ইচ্ছেমত দামে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন।
এ নিয়মের পুরোদমে ফায়দা নিচ্ছে ‘ভিয়াগোগো’ নামক ইংল্যান্ডের একটি ওয়েবসাইট। যারা প্রায় ১০৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট। তারা নিয়মিতই ‘এজেন্ট সেলিং’য়ের মতো করে টিকিট বিক্রি করে থাকে। যাদের মূল কাজই হলো উৎস থেকে টিকিট ক্রয় করে সেটি সাধারণের মাঝে বিক্রি করে দেয়া।
সাধারণত টিকিটের দামে খুব বেশি হেরফের না করলেও বিশ্বকাপের বাজারে ঠিকই বাজিমাত করে নিচ্ছে ভিয়াগোগো। ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বাভাবিক মূল্য ১৫১ পাউন্ড (প্রায় ১৬ হাজার টাকা) হলেও ভিয়াগোগোতে এ ম্যাচের প্রায় ১০০০ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০২৯ পাউন্ড বা ১৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৫৭ টাকা।
প্রাথমিকভাবে যারা আইসিসির ওয়েবসাইটে টিকিটের জন্য নিবন্ধন করতে পারেনি, তারাই মূলত ‘ভিয়াগোগো’ কিংবা ‘স্টাবহাব’ নামক ওয়েবসাইটগুলো থেকে টিকিট সংগ্রহ করে থাকে। মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখে ভিয়াগোগো তাদের ওয়েবসাইটে ‘সেলিং ফাস্ট’ বা দ্রুত বিক্রি নামক ক্যাম্পেইন খুলে ১৬ হাজার টাকার টিকিট ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেছে।
কিন্তু আইসিসির নিয়ম ও শর্তাবলীতে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তারা এসব ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথাই ভাবছে।
বিশ্বকাপ আয়োজকদের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছি এবং আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করবো। দ্বিতীয় শ্রেণীর যেসব সাইট টিকিট বিক্রি করছে তাঁরা আমাদের শর্তাবলী লঙ্ঘন করছে। আমরা এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
এদিকে ভিয়াগোগোর এক মুখপাত্র আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘ভিয়াগোগো মূলত একটা মার্কেটপ্লেস। এখানে কোনো টিকিট বিক্রি বা কেনা হয় না। ভিয়াগোগো স্রেফ একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে তৃতীয় পক্ষের কাছে টিকিট পৌঁছে দেয়া হয়। আয়োজকরা প্রায়ই বলে থাকে যে এসব পুনরায় বিক্রি করা টিকিট অবৈধ। আমরা মনে করি এমন একদমই ঠিক নয়, অনুচিত। তবে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে ভিয়াগোগোতে যেসব টিকিট পাওয়া যায় সবগুলোই বৈধ এবং যে কেউ সহজেই এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে যেকোনো ইভেন্টে যোগ দিতে পারবে।’