আব্দুল মান্নান’র অশুভ কৌশলের আতংকে বুড়িমারীর সাধারণ মানুষ

- আপডেট সময় : ১২:৫৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

পাটগ্রাম প্রতিনিধিঃ সাংবাদিক জাতির বিবেক। কিন্তু সাংবাদিক যদি নামধারী হয়ে ব্যবসায় করে সে কিভাবে হয় জাতির বিবেক এই এটি বুড়িমারীর সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।তেমনি একজন আব্দুল মান্নান।
তিনি বুড়িমারী বাজারে ব্যবসার নামে ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংককিং শাখা খুলে বসেছেন কিন্তু টাকা উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন সাংবাদিকতা এটি সাধারণ মানুষের অভিযোগ।
জানা যায়, তিনি রংপুর যুবদলের একসময়ের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ৫ ই জানুয়ারির নির্বাচনের সময় বুড়িমারীর তান্ডবে তার কৌশলগত হস্তক্ষেপ ছিলো এমন মন্তব্য অনেকের,তিনি চাঁদনী বাজার পত্রিকার নামধারী সংবাদ প্রতিনিধি এমনটাই জানা গেছে স্থানীয় পেশাদার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে।
এছাড়াও গণমাধ্যমে তার লেখনী শক্তি নেই বললেই চলে, তিনি চাঁদনী বাজার পত্রিকার প্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে পাটগ্রাম রিপোর্টাস ক্লাবে যুক্ত ছিলেন, যুক্ত থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজীসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে তার নেতৃত্বে একটি চক্র সক্রিয় হয় বিষয়টি ক্লাবের নীতি নির্ধারকগন অবগত হইলে চক্রটির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।
এদিকে আব্দুল মান্নানের সাজানো নাটকের শিকার শ্রমিক নেতা আওলাদ হোসেন বলেন, আমার দায়িক্তে থাকা বুড়িমারী ট্র্যাক স্টান্ডে তৎকালীন সময় জামাত বিএনপি পন্হী কিছু সাংবাদিক সিন্ডিকেট করে আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে কয়েক দফা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আমার কাছে, আমি তার বাস্তবতা জানি এবং চিনি বলেই তাকে কোনরুপ পাত্তা না দেওয়ায় সে পূর্ব আক্রোশের জের ধরে তার পরিচালনাধীন বুড়িমারী ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এ আমার ছেলের একাউন্ট খোলাকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাকে অফিসের সামনে ডেকে নিয়ে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়,আমার চিৎকার শুনে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আমার অবস্হা গুরুতর দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করায় আমি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলাম।
আমি চিকিৎসা থাকা কালীন অবস্থায় ঐরাতে কৌশলবাজ মান্নানের লোকজন আমার বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যা একটি সাজানো নাটক মাত্র। আমি চিকিৎসাধীন থাকায় ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ইতিমধ্যে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।অভিযোগ সূত্র মতে, আব্দুল মান্নান বুড়িমারী ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এ ৫০০শত টাকা নিয়া এ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার কথা বলে দীর্ঘ দুই মাস ধরে টালবাহানা করে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগী রুমেল ইসলাম, বিষয়টি রুমেল ইসলামের পিতা মোঃ আওলাদ হোসেন জানতে পেরে ১৭-০৩-২০২০ ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ১ঃ৩০মিনিটে বুড়িমারী ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং’র পরিচালনায় থাকা আব্দুল মান্নানকে জিজ্ঞেস করে রুমেলের এ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কি না?দীর্ঘ দুই মাস ধরে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে আসা আব্দুল মান্নান উত্তেজিত হইয়া বলেন সময় লাগবে বলে আব্দুল মান্নান ও আওলাদ হোসেনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
পরবর্তীতে গত ১৮-০৩-২০২০ ইং তারিখে আনুমানিক রাত ৮ঃ৩০মিনিটে আব্দুল মান্নান পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আওলাদ হোসেনকে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর অফিসের সামনপ ডেকে নিয়ে যায় কথা আছে বলে,সেখানে আওলাদ হোসেন গেলে আগে থেকে অবস্থানরত ৪/৫ জামাত বিএনপির ক্যাডারদের আব্দুল মান্নান উত্তেজিত হইয়া বলেন, আজ বেঠাকে পেয়েছি ধর বেঠাকে,এই বলিয়া আওলাদ হোসেনকে একা পেয়ে প্রাণনাশের চেষ্টায় এলোপাতাড়ি হামলা চালায় এবং উচ্চস্বরে বলতে থাকেন সাংবাদিকের সাথে লাগিস দেখিস নাই কুড়িগ্রামে ডিসির কি হইছে বলিয়া মাইরডাং আর অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে এবং পকেটে থাকা ২লাখ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক বের করে নেয় ,আমার চিৎকার চেচামেচি শুনিয়া বাজারের বেশ কয়েকজন এসে প্রতিরোধ করে মুমূর্ষু ও রক্তাক্ত অবস্থায় আওলাদ হোসেনকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পাটগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করে যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং- ৩৪/৩০২৬ ১৮-০৩-২০২০ইং,।
উপস্থিত ডাক্তারগন আমার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন এটা পতক্ষ্যদর্শীরা সবাই অবগত।
নৃশংস হামলার স্বীকার আওলাদ হোসেন জানান,আব্দুল মান্নান সকলের চোখে ধুলো দিয়ে সাংবাদিকের পরিচয়ে জানা অজানা নানাবিধ অপকর্মের সংঙ্গে জড়িত।অপরদিকে অভিযোগকারী ও লোক মুখে শোনা যায় আব্দুল মান্নান সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিভিন্নভাবে নানা কাজের অজুহাতে টাকা দাবি করেন।
তবে সে সাংবাদিক হওয়ায় মানুষ প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস পায় না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন।
এছাড়া জানা যায়,অপকর্মের জন্য আব্দুল মান্নান বুড়িমারীতে জনতার হাতে বেশ কয়েকবার লাঞ্চিত হয়েছেন।
গোপন সুত্রে জানা গেছে,বেশ চতুর ও কৌশলী আব্দুল মান্নান চিকিৎসার নামে রংপুরে তার বাড়িতে বহাল তবিয়তে আরাম আয়েস করছেন।সবকিছু মিলিয়ে তার এই দুর্সাহসিক মনোভাব পেশাদার গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য লজ্জা ছাড়া কিছু নয়। তবে ইতিমধ্যে আব্দুল মান্নানের স্বপক্ষে একাধিক বিএনপি পন্থী গণমাধ্যমে ঘটনার বিপরীত সংবাদ পরিবেশন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অভিযোগকারীগন। জনসম্মুখে তার দৃশ্যমান চরিত্র ও কার্যকলাপ দেখাতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করাটা জরুরি এমনটাই বলেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
আব্দুল মান্নানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি । তবে সচেতনমহল দাবি করেন প্রকৃত ঘটনাবলী উদঘাটন পূর্বক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ জরুরী।
পরে আব্দুল মান্নানের সাথে দেখা করেতে রমেকে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি।পরে গোপনে জানা যায় তিনি তার রংপুরের বাসায় আরামে আছেন বলে জানা গেছে।