ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক 




শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর ফারুক হাওলাদার রাজাকার তালিকার বাইরে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ৯০ বার পড়া হয়েছে

শরিয়তপুর প্রতিনিধিঃ  

দেশে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে চলছে। দেশে যুদ্ধপরাধী, রাজাকার ও জঙ্গিরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা সুযোগ পেলে আবার বিষধর সাপের ন্যায় ফনা তুলে জাতিকে দংশন করবে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর থেকেই এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। এমনকি এরশাদের স্বৈরশাসনের পর বিএনপি দুইধাপে ক্ষমতায় এসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ানোর ব্যবস্থাও করেছিল। শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালি হাওলাদার কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল হাওলাদার এর ছেলে সিদ্দিকুল ফারুক হাওলাদার এর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল মান্নান রাড়ির সাথে কথা বললে তিনি জানান সিদ্দিকুর ফারুক হাওলাদার ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এলাকায় আলবদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেন। সে সময়ে তিনি ছাত্রসংঘের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, সে প্রকিত পক্ষে একজন যুদ্ধাপরাধী এবং তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান। সখিপুর থানার প্লাটুন কমান্ডার মাস্টার মোসলেম উদ্দিন জানান আমাদের দেশ স্বাধীনের পর আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিরুধীদের যেই তালিকা করি সেই তালিকায় সিদ্দিকুর ফারুক হাওলাদার ছিলো আমরা তালিকা ভুক্ত যারা ছিলো তাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রহন করি সে সময় আমাদের এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মৃত মাস্টার হাকীম হাওলাদার এর অনুরোধে তাকে সাময়িক ক্ষমা করা হয়েছিলো। খবর নিয়ে জানা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পরে ১৯৭৫ এর পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তাকে সেনাবাহিনীর কমিশনার পদে যোগদান করান। ১৯৮৫ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে সেনাবাহিনীর মের্জর থাকা কালে দোষ ও দূর্নীতির অভিযোগে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয় এবং ১৯৯১ সাল থেকে বর্তমানেও তিনি বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর ফারুক হাওলাদার রাজাকার তালিকার বাইরে!

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

শরিয়তপুর প্রতিনিধিঃ  

দেশে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে চলছে। দেশে যুদ্ধপরাধী, রাজাকার ও জঙ্গিরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা সুযোগ পেলে আবার বিষধর সাপের ন্যায় ফনা তুলে জাতিকে দংশন করবে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর থেকেই এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। এমনকি এরশাদের স্বৈরশাসনের পর বিএনপি দুইধাপে ক্ষমতায় এসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ানোর ব্যবস্থাও করেছিল। শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালি হাওলাদার কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল হাওলাদার এর ছেলে সিদ্দিকুল ফারুক হাওলাদার এর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল মান্নান রাড়ির সাথে কথা বললে তিনি জানান সিদ্দিকুর ফারুক হাওলাদার ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এলাকায় আলবদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেন। সে সময়ে তিনি ছাত্রসংঘের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, সে প্রকিত পক্ষে একজন যুদ্ধাপরাধী এবং তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান। সখিপুর থানার প্লাটুন কমান্ডার মাস্টার মোসলেম উদ্দিন জানান আমাদের দেশ স্বাধীনের পর আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিরুধীদের যেই তালিকা করি সেই তালিকায় সিদ্দিকুর ফারুক হাওলাদার ছিলো আমরা তালিকা ভুক্ত যারা ছিলো তাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রহন করি সে সময় আমাদের এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মৃত মাস্টার হাকীম হাওলাদার এর অনুরোধে তাকে সাময়িক ক্ষমা করা হয়েছিলো। খবর নিয়ে জানা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পরে ১৯৭৫ এর পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তাকে সেনাবাহিনীর কমিশনার পদে যোগদান করান। ১৯৮৫ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে সেনাবাহিনীর মের্জর থাকা কালে দোষ ও দূর্নীতির অভিযোগে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয় এবং ১৯৯১ সাল থেকে বর্তমানেও তিনি বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছেন ।