স্বামী-সন্তান ফেলে পরকিয়া প্রেমিকের বাড়িতে ৫ সন্তানের জননী
- আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
সারাবাংলা ডেস্ক;
পরকীয়া করতে গিয়ে স্বামী-সন্তানের হাতে ধরা পড়েছেন পাঁচ সন্তানের জননী। পরে উপায় না পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন ওই নারী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর ইউপির মহিষের বাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের বাড়িতে তিনি অবস্থান করেন। পরে খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আব্দুল আজিজ ধর্মপাশা উপজেলা সদর ইউপির মহিষের বাথান গ্রামের তাহের আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক আব্দুল আজিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। ওই নারীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলার তেথুলিয়া ইউপির পশুখালী গ্রামে। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী।
প্রায় তিন বছর আগে ট্রেনে ওই নারীর সঙ্গে আব্দুল আজিজের পরিচয় হয়। এরপর থেকেই তারা দু’জন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকে তারা দু’জনই নিজ-নিজ পরিবারের কাছে একে অপরকে ধর্মের ভাই-বোন পরিচয় দিয়ে পারিবারিকভাবেও সম্পর্ক তৈরি করেন। এভাবে তারা পরকীয়া চালিয়ে আসছিলেন। এমন অবস্থায় প্রায় ২০ দিন আগে তার স্বামীসহ প্রেমিকার বাড়িতে বেড়াতে যান ওই নারী। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ঘরের একটি কক্ষে ওই নারী ও তার প্রেমিক আব্দুল আজিজকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান ওই নারীর স্বামীসহ তার এক মেয়ে। এ সময় প্রেমিক আব্দুল আজিজ কৌশলে ঘর থেকে বেড়িয়ে পালিয়ে যান। এরপরই ওই নারী চরম বিপাকে পড়েন।
একপর্যায়ে ওই নারী মোবাইল ফোনে তার প্রেমিক আব্দুল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপনে বিয়ের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেন। পরে ওই রাতেই স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। আর তখন থেকেই বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। এদিকে গত তিন দিন ধরে প্রেমিক আব্দুল আজিজ প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে ওই নারী নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন।
ওই নারী বলেন, আব্দুল আজিজের জন্য আমার স্বামী-সন্তান-সংসার সবই শেষ হয়ে গেল। এখন আমাকে বিয়ে না করলে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
আব্দুল আজিজের মা সবুরের নেছা (৬০) বলেন, ওই মেয়েটি আমার ছেলেকে ধর্মের ভাই বানিয়েছে। তাকে আমিও আমার নিজের মেয়ের মতোই মনে করি। এমনকি গত পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে আমার ছেলের বিয়েতে এসেও কয়েকদিন বাড়িতে থেকে গেছে। আর এখন আমার ছেলের সঙ্গে বিয়ে করার কথা বলে।
ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।