ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ৮০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ‘কিয়ার’ প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে। তবে ইতোমধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়ায় আঘাত হেনেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। গোয়ায় ঘূর্ণিঝড় কিয়ার প্রভাবে অনেক গাছ-পালা এবং বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের দাপটে দেশটির পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলীয় চার রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আরব সাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় ২০০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। গোয়ায় ঝড়ে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্রের পানি উপচে উঠেছে।

এর আগে শুক্রবার ভারতের আবহাওয়া দফতর জানায়, আরব সাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম কিয়ার। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মুম্বাই থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘কিয়ার।’

তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কিলোমিটার। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গোয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া দফতর।

রোববার সকালের দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিয়ার। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং কর্ণাটকের উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করে বার্তা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। এছাড়া গুজরাট উপকূলের একটি অংশেও একই বার্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভারতীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেল বলছে, রোববার ভোর থেকেই আরব সাগরের বিভিন্ন জায়গায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেশি ছিল। এ কারণে ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে এবং ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’

আপডেট সময় : ০৯:৪০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ‘কিয়ার’ প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে। তবে ইতোমধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়ায় আঘাত হেনেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। গোয়ায় ঘূর্ণিঝড় কিয়ার প্রভাবে অনেক গাছ-পালা এবং বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের দাপটে দেশটির পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলীয় চার রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আরব সাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় ২০০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। গোয়ায় ঝড়ে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্রের পানি উপচে উঠেছে।

এর আগে শুক্রবার ভারতের আবহাওয়া দফতর জানায়, আরব সাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম কিয়ার। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মুম্বাই থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘কিয়ার।’

তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কিলোমিটার। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গোয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া দফতর।

রোববার সকালের দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিয়ার। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং কর্ণাটকের উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করে বার্তা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। এছাড়া গুজরাট উপকূলের একটি অংশেও একই বার্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভারতীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেল বলছে, রোববার ভোর থেকেই আরব সাগরের বিভিন্ন জায়গায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেশি ছিল। এ কারণে ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে এবং ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।