ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বাবার কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করল ছেলে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করেছেন তারই ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুর রউফ খান। উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কবরের প্রাচীরের ওপর টয়লেটের জন্য নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার ২০১৭ সালে মারা যান। এরপর তার ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ করে নেন।

বড় ছেলে আসাদ খান মুনির জানান, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ম মাফিক ভাগাভাগি হলেও নিজের অংশ নিয়ে তার ছোট ভাই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ শুরু থেকেই সংক্ষুব্ধ ছিল। এর জেরে সম্প্রতি সে বাবার কবরের প্রাচীরের ওপর থেকে প্রাচীর তুলে টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সবাই বাধা দিলেও রউফ শোনেনি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে- তার পরিবারের সদস্যরা এই তথ্য জানালে রোববার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি কবরের ওপর তোলা টয়লেটের প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেছেন।

এ বিষয়ে বগুড়ায় কর্মরত কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ খান জানান, জমি-জমা ভাগাভাগির সময় কবরের জায়গাটা তার ভাগে পড়ে। সমস্যা যা হয়েছিল তা স্থানীয় মুরব্বি ও মুক্তিযোদ্ধারা রোববার সন্ধ্যায় সমাধান করে দিয়েছেন। তার বাবার কবর আগের মতোই আছে।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ফুয়ারা খাতুন জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা তাকে এ বিষয়ে ফোনে জানিয়েছিলেন। পরে তিনি কবরের ওপর নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বাবার কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করল ছেলে!

আপডেট সময় : ০৭:২১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করেছেন তারই ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুর রউফ খান। উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কবরের প্রাচীরের ওপর টয়লেটের জন্য নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার ২০১৭ সালে মারা যান। এরপর তার ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ করে নেন।

বড় ছেলে আসাদ খান মুনির জানান, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ম মাফিক ভাগাভাগি হলেও নিজের অংশ নিয়ে তার ছোট ভাই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ শুরু থেকেই সংক্ষুব্ধ ছিল। এর জেরে সম্প্রতি সে বাবার কবরের প্রাচীরের ওপর থেকে প্রাচীর তুলে টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সবাই বাধা দিলেও রউফ শোনেনি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে- তার পরিবারের সদস্যরা এই তথ্য জানালে রোববার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি কবরের ওপর তোলা টয়লেটের প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেছেন।

এ বিষয়ে বগুড়ায় কর্মরত কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ খান জানান, জমি-জমা ভাগাভাগির সময় কবরের জায়গাটা তার ভাগে পড়ে। সমস্যা যা হয়েছিল তা স্থানীয় মুরব্বি ও মুক্তিযোদ্ধারা রোববার সন্ধ্যায় সমাধান করে দিয়েছেন। তার বাবার কবর আগের মতোই আছে।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ফুয়ারা খাতুন জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা তাকে এ বিষয়ে ফোনে জানিয়েছিলেন। পরে তিনি কবরের ওপর নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দেন।