ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির এক নিষ্ক্রিয় নেতার প্রভাব

- আপডেট সময় : ০৭:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএডিসি) ১০ বছর ধরে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন এক সময়ের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এসএম মুসতাক।
তিনি এক সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে বেশ কিছুদিন হলো তিনি বিএনপিতেও আর আগের মতো সক্রিয় নেই। তারপরও এ নেতার প্রভাব ও ইশারায় চলে বিএডিসির টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে অনেক কলকাঠি।
সোমবার ছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএসডিসি) শিবগঞ্জ কেন্দ্রের গম, ধান ও ভুট্টা বীজ পরিবহনের শিডিউল ফেলার শেষ দিন। কিন্তু এসএম মুসতাকের বাহিনীর দাপটে কোনো ঠিকাদারই দরপত্র ফেলতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে একক আধিপত্য বিস্তার করে বিএনপির সাবেক নেতা এমএম মুসতাক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঠিকাদারের কাজ বাগিয়ে নেন। এরই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকে বিএসডিসির শিবগঞ্জ কেন্দ্রের টেন্ডার বক্স ছিল তার বাহিনীর দখলে। ভয়ে ওই এলাকার ঠিকাদাররা টেন্ডারে শিডিউল দাখিল করতে পারেনি।
বিএসডিসি সূত্রে জানা গেছে, গম, ধান ও ভুট্টা বীজ পরিবহনে এক কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর বিপরীতে এবার ১৫টি দরপত্র বিক্রি হয়। সোমবার ছিল শিডিউল জমার শেষ দিন। শেষ সময় পর্যন্ত শিডিউল জমা পড়েছে মাত্র ৩টি। ওই তিনটি দরপত্র ছিল বিএনপি নেতা এসএম মুসতাকের। তিনি ছাড়া অন্য কেউ শিডিউল ফেলতে পারেননি।
প্রতিবছরের মতো এবারও শিডিউল কিনে ফেলতে পারেনি ঠিকাদার আবু বক্কর সিদ্দিক, শেখ জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে। তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট বাহিনীর ভয়ে দুপুর পর্যন্ত শিডিউল ফেলা যায়নি। ভয়ভীতিসহ নানান হুমকি দিয়েছে ওই সিন্ডিকেট চক্রটি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসএম মুসতাক। তিনি বলেন, যখন আমি শিডিউল ফেলতে যাই তখন কেউ ছিল না।
এ ব্যাপারে বিএডিসি শিবগঞ্জ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক (বীজ) তাজুল ইসলাম ভুঞা বলেন, শিডিউল ফেলতে পারেনি এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।